শান্তির দূত সুকির ইমেজে ধাক্কা, রোহিঙ্গা ইস্যুতে খেতাব কেড়ে নিল অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি
ছবি সরানোর পর এবার সু কি-র খেতাবও কেড়ে নিল অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি। রোহিঙ্গা সমস্যা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় এই খেতাব ফেরানোর নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ছবি সরানোর পর এবার সু কি-র খেতাবও কেড়ে নিল অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি। রোহিঙ্গা সমস্যা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় এই খেতাব ফেরানোর নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মায়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর সু কি অক্সফোর্ডের সেন্ট হিউ কলেজে ১৯৬৪ থেকে ৬৭ সালের মধ্যে পড়াশোনা করেছিলেন। তাঁর বিষয় ছিল ফিলোজফি, পলিটিক্স এবং ইকনোমিক্স।
বিরোধী নেত্রী হিসেবে দীর্ঘদিন মায়ানমারের সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন সু কি। সেই লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৭ সালে সু কিকে 'ফ্রিডম অফ অক্সফোর্ড' সম্মান দেওয়া হয়েছিল।
এই মুহুর্তে সু কি মায়ানমারের শাসকদলের নেত্রী। সেই শাসকদলের মদত এবং পুলিশ ও সামরিক বাহিনী কমপক্ষে ৫ লক্ষ রোহিঙ্গাকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সু কি বিশেষ কোনও ব্যবস্থাও নেননি। তাঁর নীরবতাও আন্তর্জাতিক মহলও বিস্মিত। সেই কারণেই অক্সফোর্ড সিটি কাউন্সিল সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেয়, 'ফ্রিডম অফ অক্সফোর্ড' সম্মান ফিরিয়ে নেওয়ার।
অন্য অনেক নামী প্রতিষ্ঠানও সু কি দেওয়া সম্মান নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে বলে জানা গিয়েছে। ব্রিটেনের শ্রমিক সংগঠন 'ইউনিসন' জানিয়েছে, তারা মায়ানমারের নেত্রীকে দেওয়া সাম্মানিক সদস্যপদ সাসপেন্ড করছে। ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটি এবং লন্ডন স্কুল অফ ইকনোমিক্সের ছাত্র সংসদও সুকিকে তাদের দেওয়া সম্মান নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছে বলে জানা গিয়েছে।
এর আগে যে সেন্ট হিউ কলেজে সু কি পড়াশোনা করেছিলেন সেখান থেকে তাঁর ছবিটিও সরিয়ে নেয়।