ছবির পর এবার অক্সফোর্ডের কমন রুম থেকে সরতে চলেছে সু কি-র নামও
ঐতিহ্যশালী অক্সফোর্ট বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের জুনিয়র কমন রুম থেকে মায়ানমারের নেত্রী অং সান সুকি-র নাম বাদ দেওয়ার প্রস্তাবে ভোটাভুটি হল বৃহস্পতিবার
ঐতিহ্যশালী অক্সফোর্ট বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের জুনিয়র কমন রুম থেকে মায়ানমারের নেত্রী অং সান সুকি-র নাম বাদ দেওয়ার প্রস্তাবে ভোটাভুটি হল বৃহস্পতিবার। মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের সেনার ওপর নিয়ন্ত্রণ না রাখা ও রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচারের নিন্দা না করায় আন্তর্জাতিক মহলে এমনিতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে সুকির বিরুদ্ধে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জুনিয়র কমন রুম নোবেলজয়ী সুকি-র নামেই রাখা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁর নাম বয়ে বেড়াতে রাজি নয় অক্সফোর্ডের পড়ুয়ারা।
অক্সফোর্ডের অন্তর্গত সেন্ট হিউ কলেজের ছাত্রছাত্রীরা জানিয়েছেন, মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে তা মেনে নেওয়া যায় না। কিন্তু তারচেয়েও বেশি যেটা অমানবিক তা হল, সুকি-র নীরবতা ও মায়ানমার সেনাকে প্রশ্রয়। এটা ক্ষমার অযোগ্য বলেই মনে করছেন অক্সফোর্ডের পড়ুয়ারা। গত মাসেই এই সেন্ট হিউ কলেজ থেকে মায়ানমারের নেত্রীর বিরাট পোর্টরেট সরিয়ে ফেলা হয়।
চলতি মাসের গোড়াতেই অক্সফোর্ড সিটি কাউন্সিল সুকিকে ১৯৯৭ সালে প্রদান করা ফ্রিডম অফ অক্সফোর্ড ফিরিয়ে নেওয়ার পক্ষে ভোট দেয়। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর দীর্ঘ লড়াইয়ের কারণেই ১৯৯৭ সালে তাঁকে এই সম্মান দেওয়া হয়েছিল।
১০৬৭ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সেন্ট হিউ কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন সুকি। গণতন্ত্রের দাবিতে তাঁর দীর্ঘ লড়াইয়ের জন্য ২০১২ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই তাঁকে সাম্মানিক ডক্টরেট উপাধি প্রদান করা হয়।
[আরও পড়ুন: শান্তির দূত সুকির ইমেজে ধাক্কা, রোহিঙ্গা ইস্যুতে খেতাব কেড়ে নিল অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি]