ক্যাপিটল হিলের হামলাকারীদের ২৭ লক্ষ মিলিয়ন ডলার দিয়েছিলেন ট্রাম্প!
কয়েকদিন আগেই মার্কিন গণতন্ত্রের উপর খড়্গ নেমে এসেছিল কট্টরপন্থীদের। ক্যাপিটল হিলের এই হামলার পিছনে ট্রাম্পের উসকানি নিয়ে সরব হয়েছিলেন সবাই। তবে এবার উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। ট্রাম্পের প্রচার দলের তরফ থেকে নাকি হামলাকারীদের সেই মিছিলে যোগদানকারীদের ২.৭ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছিল।

'আমেরিকা ফার্স্ট'
আমেরিকা ফার্স্ট - এই স্লোগানকে সামনে রেখে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। চার বছরের শাসনকালে তিনি দেশকে একের পর এক সঙ্কটের মধ্যে টেনে নিয়ে গিয়েছেন। ইতিহাসবিদরা বলছেন, এখন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সামনে তেমনই বড় চ্যালেঞ্জ, ১৮৬১-র গৃহযুদ্ধের পর যেরকম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলেন আব্রাহাম লিঙ্কন, আর ১৯৩৩ সালের অপ্রত্যাশিত মন্দার সময় যেমন সঙ্কটের মধ্যে গিয়েছিলেন ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট।

'ট্রাম্পিজম'কে মুছে ফেলাটা সহজ হবে না
ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন যে বহু দশকের মধ্যে তিনি তেমন প্রেসিডেন্ট হতে পেরে গর্বিত, যিনি কোনও যুদ্ধ শুরু করেননি। যদিও সমর্থকদের ক্যাপিটল হিলে হামলা চালানোয় প্ররোচনার জন্য তিনিই দায়ী। চরম দক্ষিণপন্থী হয়েও ট্রাম্প ৭.৪ কোটি ভোট পাওয়ায়, 'ট্রাম্পিজম'কে মুছে ফেলাটা সহজ হবে না।

আরও ৮.৩ লক্ষ কোটি ডলার চাপিয়েছেন
ট্রাম্প যেরকম নির্লজ্জভাবে মিথ্যে কথা বলেছেন, সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন, তেমনটা আর কোনও প্রেসিডেন্ট করেননি। তিনি আট বছরে দেশকে ঋণমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি চার বছরে ঋণের বোঝার ওপর আরও ৮.৩ লক্ষ কোটি ডলার চাপিয়েছেন। বাইডেনের সামনে প্রথম চ্যালেঞ্জই হল একটা পাগল হাতির হানায় বিধ্বস্ত ব্যবস্থাকে ঠিক পথে আনা, এবং সে যা রেখে গেছে, সেই সামাজিক-অর্থনৈতিক সঙ্কটের উপশম করা।

৫০ বছরের মধ্যে সবথেকে খারাপ জায়গায় ট্রাম্প
ট্রাম্পের শাসনকাল, যা বেশি কথা ও কম কাজের জন্যেই পরিচিত, সেসময় কোভিড প্যানডেমিকের হানা চার লাখ আমেরিকানের জীবন কেড়ে নিয়েছে। কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত আমেরিকান সৈন্যের সংখ্যার প্রায় সমান। একমাত্র নিজে মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরেই ট্রাম্প বুঝতে পারেন যে পরিস্থিতি কতটা গুরুতর। বেকারত্বের হার প্যানডেমিকের আগেই গত ৫০ বছরের মধ্যে সবথেকে খারাপ জায়গায় পৌঁছেছিল। প্যানডেমিকের পর তা আরও অসহায় অবস্থায় চলে গিয়েছে। তবে ক্যাপিটল হিলে হামলার থেকে বড় আঘাত আর কোনওটি ছিল না।