করোনার জেরে কতটা গুরুতর বিশ্ব মন্দা! অর্থনীতি নিয়ে নয়া রিপোর্ট জানাচ্ছে কোন তথ্য?
করোনা ভাইরাস মহামারীর জেরে এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলিতে নেমে আসতে চলেছে মন্দার খাড়া। এশিয়ার ৪৫টি উন্নয়নশীল দেশের এই অঞ্চলে গত ৬০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো আঞ্চলিক মন্দার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে ৩০ বছরে প্রথমবারের মতো মন্দা দেখা দিয়েছে করোনার জেরে। তবে এরই মধ্যে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের দাবি, যতটা গভীর মন্দার আশঙ্কা করা হয়েছিল, তা আসছে না বিশ্বে।
২০২১ সালে অর্থনীতির চাকা ঘুরবে ধীর গতিতে
অবশ্য মন্দার আশঙ্কার মেঘ কিছুটা কাটালেও অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের মত, আগামী বছরে এই মন্দা থেকে বিশ্ব অর্থনীতির উঠে আসার প্রক্রিয়া হবে শ্লথ গতিতে। এর আগে মনে করা হচ্ছিল যে ২০২১ সালে দ্রুত গতিতে মন্দা কাটিয়ে ছন্দে ফেরার পথে হাঁটতে পারে বিশ্ব অর্থনীতি। তবে সেই আশায় জল ঢেলেছে সংস্থাটি।
বিশ্ব অর্থনৈতিক উৎপাদন ৪.৫ শতাংশ সঙ্কুচিত হবে
অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের মত, ২০২০ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক উৎপাদন ৪.৫ শতাংশ সঙ্কুচিত হবে। সেখান থেকে ২০২১ সালে নিঃসন্দেহে ফিরে দাঁড়াবে অর্থনীতি। উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে ৫ শতাংশ। তবে এর আগে জুন মাসে নিজেদের পূর্বাভাসে সংস্থাটি জানিয়েছিল যে বিশ্ব অর্থনীতি ৬ শতাংশ পর্যন্ত সঙ্কুচিত হবে চলতি অর্থবর্ষে।
অতিমারীর প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছে বহু দেশ
এই বিষয়ে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের বক্তব্য, করোনা অতিমারীর প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠে বহু দেশ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। অর্থনীতির চাকা ফের সচল হতে শুরু করায় আগের আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি থেকে অনেকটা উন্নতি হয়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে।
করোনা আবহে এখনও সব কিছুই খুব অনিশ্চিত পর্যায়ে
তবে এই কথা বলেও সংস্থার আশঙ্কা, করোনা আবহে এখনও সব কিছুই খুব অনিশ্চিত পর্যায়ে রয়েছে। ২০২০ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বিশ্বের উৎপাদনের পরিমাণ ১০ শতাংশ সঙ্কুচিত হবে। অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের রিপোর্ট অবশ্য জানায়, প্রথম ত্রৈমাসিকে বিশ্বের উৎপাদন হ্রাস পেয়েছিল ১৫ শতাংশ।
ব্রিটেনের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমেছে ২১.৭ শতাংশ
এই ত্রৈমাসিকে ব্রিটেনের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমেছে ২১.৭ শতাংশ। ফ্রান্সের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সংকুচিত হয়েছে ১৮.৯ শতাংশ। রেকর্ড পরিমাণে কমেছে দেশটির আর্থিক কার্যক্রম। ইউরোজোনের অন্যান্য দেশের চেয়ে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি কমেছে ফ্রান্সের।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি কমেছে ৯.১ শতাংশ
২০২০ সালের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি কমেছে ৯.১ শতাংশ। কোয়াটারলি হিসেবে এ নেতিবাচক ধারা ১৯৪৭ সালের পর সবচেয়ে বেশি। মহামারীতে এপ্রিল থেকে জুনে অস্ট্রেলিয়ার জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমেছে ৭ শতাংশ। যা গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে নেতিবাচক। এদিকে ইতালির প্রবৃদ্ধি এপ্রিল থেকে জুনে কমেছে ১৭.৭ শতাংশ।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে মোদীকে কোন কূটনৈতিক বার্তা ওলির, মিলল ভারত-নেপাল বরফ গলার ইঙ্গিত?