ভাইরাস রুখতে আর ভ্যাকসিন নয়! করোনার ট্যাবলেট নিয়ে এসে বিশ্বকে চমকে দিল এই দেশ
গোটা বিশ্বকে গ্রাস করেছে করোনা। করোনার থাবায় প্রত্যেকদিন হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু দেখেছে দেশের মানুষ। শব্দের চেয়েও দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়েছিল সংক্রমণ। যদিও ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নিয়ে শুরু করেছে বিশ্বের মানুষ। যদিও এখনও পুরো
গোটা বিশ্বকে গ্রাস করেছে করোনা। করোনার থাবায় প্রত্যেকদিন হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু দেখেছে দেশের মানুষ। শব্দের চেয়েও দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়েছিল সংক্রমণ। যদিও ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নিয়ে শুরু করেছে বিশ্বের মানুষ। যদিও এখনও পুরোপুরি চলে যায়নি এই ভাইরাস।
কিন্তু অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে পরিস্থিতি। তবে সংক্রমণ রুখতে প্রথম দিন থেকে লড়াই শুরু করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। যা আজ সাফল্যের মুখ দেখতে শুরু করছে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাজারে এল প্রথম কোভিড পিল।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাজ করছেন একাধিক দেশের বিজ্ঞানীরা। কীভাবে পাকাপাকিভাবে মারন এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে সেই লক্ষ্যেই কাজ চালাচ্ছেন বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন এসে গিয়েছে বাজারে। তবে ভ্যাকসিন নিয়ে আরও গবেষণা চলছে।
তবে এবার বাজারে চলে এল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী ওষুধ। ইতিমধ্যে এই ট্যাবলেটকে স্বীকৃতি দিয়েছে ব্রিটেন। এই ওষুধ সাধারন ট্যাবলেটের মতোই খাওয়া যাবে। এমনটাই জানানো হয়েছে। বিশ্বের মধ্যে ব্রিটেন প্রথম দেশ যারা প্রথম করোনা ট্যাবলেট নিয়ে আসল।
দুই সংস্থা মিলে এই ওষুধ তৈরি করেছে। অভাবনীয় এই সাফল্য সামনে আসার পরেই উচ্ছ্বসিত বিজ্ঞানীরা। জানা যায়, আমেরিকার মার্ক এবং রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিক্স এই বিষয়ে দীর্ঘদিন কাজ চালাচ্ছিল। অবশেষে সাফল্য। দুই সংস্থার যৌথ উদ্যোগে তৈরি বিশ্বের প্রথম ওরাল মেডিসিন।
বৃহস্পতিবার এই করোনার সংক্রমণ-রোধী ওষুধকে স্বীকৃতি দিয়েছে ব্রিটেন। এই ওষুধ ব্যবহারের সুপারিশ করেছে Britain's Medicines and Healthcare products Regulatory Agency (MHRA)। বিজ্ঞানীদের আশা, করোনা আক্রান্ত রোগীর দেহে যত দ্রুত এই ওষুধ প্রয়োগ করা যাবে তত তাড়াতাড়ি সংক্রমণ মুক্ত হবে রোগী।
অন্যদিকে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরও এক ধাপ এগোল ভারত। এবার ভারতেই সম্পূর্ণরূপে তৈরি হল জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন। এটি আমেরিকান সংস্থা হলেও হায়দরাবাদে ভারতের জন্য ভ্যাকসিন তৈরি করেছে তারা। গত সপ্তাহেই প্রায় এক কোটিরও বেশি টিকার ডোজ সরবরাহের জন্য সম্মতি দিয়েছে সরকার।
হিমাচল প্রদেশের সেন্ট্রাল ড্রাগস ল্যাবরেটরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে টিকাটি। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক উচ্চ আধিকারিকের কথায়, ' হিমাচল প্রদেশের পরীক্ষাগার টিকাটিকে ছাড়পত্র দিয়েছে। সংস্থাটিও জানিয়েছে, শীঘ্রই টিকা সরবরাহ শুরু করবে তারা। ২৮ তারিখের মধ্যে লাইসেন্স পেয়ে যাবে তারা।
তারপর থেকেই শুরু হবে সরবরাহের কাজ। ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া সেন্ট্রাল ড্রাগস ল্যাবরেটরির রিপোর্টে সম্মতি দিলেই গোটাদেশে ছড়িয়ে পড়বে টিকাটি।