আতঙ্ক বাড়িয়ে নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে প্রথম মৃত্যু ব্রিটেনে, সাধারণকে সাবধান হতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
ওমিক্রন আক্রান্তে ভুগছে গোটা বিশ্ব। হু হু করে এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়ছে করোনার নয়া এই ভ্যারিয়েন্ট। ফলে নতুন করে আতঙ্কের প্রহর গুনছে বিশ্বের মানুষ। এমনকি ওমিক্রনের কারনে নতুন করে ওয়েভ বিশ্বে আছড়ে পড়তে পারে। এমনটাই
ওমিক্রন আক্রান্তে ভুগছে গোটা বিশ্ব। হু হু করে এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়ছে করোনার নয়া এই ভ্যারিয়েন্ট। ফলে নতুন করে আতঙ্কের প্রহর গুনছে বিশ্বের মানুষ। এমনকি ওমিক্রনের কারনে নতুন করে ওয়েভ বিশ্বে আছড়ে পড়তে পারে। এমনটাই আশঙ্কা চিকিৎসকদের।
তাঁরা বলছেন, ওমিক্রন অনেক দ্রুত এবং অনেক বেশি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর এর মধ্যেই ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসছে। এই ঘটনা ঘটেছে ব্রিটেনে। এটাই বিশ্বের প্রথম ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। আর এই মৃত্যুর খবর সামনে আসার পরেই নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সে দেশে।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, সে দেশে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ব্রিটেনে ক্রমশ বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। এই অবস্থায় প্রথম মৃত্যু সে দেশে। গত কয়েকদিন আগেই সে দেশের বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেন যে, দেশে ওমিক্রনে মৃত্যু বাড়বে।
এপ্রিল মাসের শেষের দিকে মৃতের সংখ্যা ২৫ হাজার থেকে ৭৫ হাজার পর্যন্ত যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিজ্ঞানীরা। শুধু তাই নয়, ব্রিটেনের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওমিক্রন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় অনেক বেশী মাত্রায় ছড়াতে পারে এবং ছড়াচ্ছেও। ফলে নয়া এই ভ্যারিয়েন্টকে ঠেকাতে এখন থেকে সঠিক পরিকল্পনা করা উচিত বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।
অন্যদিকে লন্ডনের স্কুল অফ হাইজিন এন্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের বিজ্ঞানীরা ওমিক্রন নিয়ে একটা গবেষণা চালাচ্ছেন। সংক্রমণের গতি-প্রকৃতি সহ (Study on Omicron Variant) একাধিক বিষয়ে এই গবেষনা চলছে। আর সেখানে দাঁড়িয়ে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওমিক্রনের কারনে নতুন বছরে জানুয়ারি মাসে একটা ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে।
আগামী কয়েকমাসের মধ্যে এই বিষয়ে যদি কোনও উপায় না বার করা যায় তাহলে ইংল্যান্ডেই ২৫ হাজার থেকে ৭৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হবে বলে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের। ফলে বিজ্ঞানীদের দাবি, অবিলম্বে সোশ্যাল ডিসটেন্সের মানার ক্ষেত্রে কড়া হওয়া প্রয়োজন। যদি সামাজিক ভাবে জড়ো হওয়া না ঠেকানো যায় তাহলে আরও দ্রুত করোনার নয়া এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা।
ব্রিটেনে ওমিক্রন রুখতে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানুয়ারির শেষ দিন পর্যন্ত ১৮ বছর কিংবা বেশী বয়সের সমস্ত লোককে বুস্টার ডোজ দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারন করেছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতির কথা ভেবে এই সময়সীমা এক মাস আগে নিয়ে আসা হচ্ছে। অর্থাৎ ডিসেম্বর মাসের শেষ দিনের মধ্যে বুস্টার ডোজ দেওয়ার টার্গেট নেওয়া হচ্ছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সে দেশের মানুষকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। তবে ওমিক্রনকে ঠেকানো যায় ভ্যাকসিনে? প্রশ্ন উঠছে।