সুলেমানি হত্যার পর দিনই ফের মার্কিন সেনার অভিযান, মৃত ইরানের মদতপুষ্ট ৫ জঙ্গি
সুলেমানি হত্যার পরের দিনই ফের মার্কিন সেনার অভিযান। জানা গিয়েছে অভিযানে ইরানের মদতপুষ্ট ৫ জঙ্গি মারা গিয়েছে। ঘটনার সত্যতা যাচাই করেছেন নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক ইরাকি আধিকারিক। তবে এই অভিযানে কারা মারা গিয়েছে তা জানাননি সেই আধিকারিক। তবে তিনি জানিয়েছেন মার্কিন বাহিনীর যুদ্ধবিমান থেকে এই অভিযান চালানো হয়। বাগদাদের উত্তর প্রান্তে এই আভিযান চালানো হয় বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই বাগদাদ বিমানবন্দরে আমেরিকার সেনার অভিযানে মারা যান ইরানের জেনারেল কাশেম সুলেমানি। বাগদাদের মার্কিন দূতাবাসে হামলার বড়সড় মূল্য দিতে হবে তেহরানকে এমনটাই ঘোষণা করেছিলেন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, আর হলও তাই৷ দেশের বাইরে কর্মরত আমেরিকার নাগরিকদের রক্ষার জন্য সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে৷ এই অভিযানে ইরানের কমান্ডার কাসিম সুলেইমানি সহ মোট আটজনের মৃত্যু হয়েছে। তেহরান সমর্থিত আধাসামরিক বাহিনী হাশেদ আল-শাবির সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবু মেহদি আল-মুহানদিস রয়েছেন মৃতদের মধ্যে।
জেনারেল সুলেমানির মৃত্যউর পরেই আমেরিকার থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন ইরানের ক্ষমতার অলিন্দে থাকা আয়াতুল্লাহ খামেনি। এক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, 'এত বছর ধরে দেশের জন্য নিজেকে সমর্পণ করা দাম সুলেমানি শহিদ হয়ে দিলেন। সুলেমানি চলে গেছেন। কিন্তু তাঁর কাজ থামবে না। জিহাদ এগোতে থাকবে। যারা এই কাজ করেছে তাদের জন্য গুরুতর প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে। পবিত্র যুদ্ধে সমর্পিত যোদ্ধাদের জন্য সুনির্দিষ্ট বিজয় অপেক্ষা করছে।'
তবে ইরানের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই ফের অভিযান চালাল মার্কিন বাহিনী। প্রসঙ্গত, সুলেমানির গোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করে লেবাননের হিজবুল্লাহ, ফিলিস্তিনের হামাস ও ইসলামিক জিহাদ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ফাতেমিয়ুন আর জাইনাবিয়ুন নামের জঙ্গিগোষ্ঠী এবং ইয়েমেনের হুদিরা। এর বাইরে সিরিয়া-ইরাকে শিয়াদের অনেক প্রশিক্ষিত বাহিনী রয়েছে কুদস ফোর্স-এর অধীনে। অন্তত ১৫-২০টি দেশে সরাসরি কিংবা সীমিত পরিসরের ইজরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, আরব আমিরসাহী সহ বিভিন্ন দেশের স্বার্থের বিপরীতে এতদিন ধরে লড়াই করছে সুলেমানির এই বাহিনী। কাসেমের হত্যার পর এবার এই বাহিনীকেই খতম করতে উঠে পড়ে লেগেছে মার্কিন বাহিনী।