৪ 'বুনো শুকর' নিয়ে গুহায় রইলেন কোচ, মুক্তির আশায় এখনও হাপিত্যেশ
থাইল্যান্ডের গুহা থেকে আরও ৪ জন ছেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে, আরও ৪ জন এবং কোচ এখনও গুহায়।
আরও একটা দিন গেল, উদ্ধার হল আরও চারজন থাই কিশোর ফুটবলার। থাই নেভি সিল জানিয়ে দিয়েছে আজকের মতো উদ্ধার কাজ স্থগিত রাখা হল। আবার কাল সকালে শুরু হবে অভিযান। তাই আজও বাইরে আসা হল না চার খুদে ফুটবলার ও তাদের কোচের।
সোমবার সকালে বেশ কয়েকটি থাই সংবাদ মাধ্যমে খবর রটেছিল, রবিবারের উদ্ধার হওয়া ৪ জনের মধ্যে আছেন কোচ একাফোল চান্তাওং। কিন্তু থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে একাফোল এখনও গুহাতেই আছেন। সঙ্গে রয়ে গিয়েছে তাঁর চার বন্য শুকর। এই নামেই তাদের এখনও অবধি ডাকছে থাই কর্তৃপক্ষ। পরিচয় এখনও গোপন রাখা হয়েছে।
সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টা নাগাদ উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়। রবিবার যে ডুবুরিরা ৪ জনকে বের করে এনেছিলেন গুহার বাইরে, এদিনও উদ্ধারকাজে তাঁরাই মুখ্য ভূমিকা নেন। গত রাতে এবং এদিন সকালেও বৃষ্টি হয়েছে। তাতে গুহার ভিতরে জলস্তর বেড়ে গিয়ে উদ্ধারে সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। কিন্তু, উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন গুহার ভিতরের অবস্থার বিশেষ হেরফের হয়নি। আশার কথা হল, আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে আগামীকাল আরই কম বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা।
এদিন বিকেলের মধ্যেই একে একে আরও চারজনকে উদ্ধার করা হয়। তারপর এক বিশেষ হেলিকপ্টারে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় চিয়াং রাই-এর এক হাসপাতালে। রবিবার উদ্ধার হওয়া ৪ জনও এই হাসপাতালেই ভর্তি। আটজনই সুস্থ আছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না তাই কর্তৃপক্ষ। আপাতত তাদের আইসোলেশন ওয়ার্ড-এ রাখা হয়েছে। গুহার ভিতর থেকে কোনও ভাইরাস ইত্যাদি সংক্রমণ হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাবা-মায়েদেরও এখনও দেখা করতে দেওয়া হয়নি। তবে এই আট কিশোরের মন ভাল করতে তাদের 'পাদ ক্রাপাও' নামে একপ্রকার থাই খাদ্য দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, উদ্ধারকাজ চলাকালীন সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে থাই কর্তৃপক্ষ। তাদের অভিযোগ উদ্ধার অভিযান চলাকালীন নাকি একটি সংবাদ মাধ্যম গুহার ভিতর ড্রোন উড়িয়েছে। এছাড়া পুলিশ রেডিও-র কথোপকথন রেকর্ড করার চেষ্টাও করা হয়েছে। সোমবার উদ্ধারকাজ দেখতে ঘটনাস্থলে আসার কথা ছিল থাই প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ও-চা'র। কিন্তু তিনি এলে উদ্ধারকাজ ব্যহত হবে আশঙ্কায় তিনি সেখানে না গিয়ে যান চিয়াং রাইয়ের হাসপাতালে। সেখানে কিশোরদের বাবা-মায়েদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।