প্রথম বিদেশ সফরে ভুটান পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর এটাই প্রথম বিদেশ সফর নরেন্দ্র মোদীর। তিনি ভুটানকে বেছে নিয়েছেন কারণ, চীন ইদানীং সেখানে কবজা জমাতে চাইছে। আর ভুটানে চীন যদি আধিপত্য বিস্তার করে, তা হলে ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। তাই দেশের নিরাপত্তার স্বার্থেই ভুটানের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করা জরুরি।
রবিবার সকালে বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে তিনি নামেন পারো বিমানবন্দরে। সেখানে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে। ছিলেন ভুটান সরকারের উচ্চপদস্থ আমলারাও। নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এই সফরে রয়েছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, বিদেশ সচিব সুজাতা সিং এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। বিমানবন্দরেই গার্ড অফ অনার গ্রহণ করে নরেন্দ্র মোদী রওনা হন ভুটানের রাজধানী থিম্পুর উদ্দেশে। পাহাড়ি রাস্তা ধরে যখন এগোচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর কনভয়, তখন রাস্তার দু'পাশে দাঁড়িয়ে পতাকা নাড়ছে স্কুলের বাচ্চারা। তাদের উদ্দেশে হাত নাড়েন নরেন্দ্র মোদীও। থিম্পুতে পৌঁছে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় ভুটানের রাজা জিগমে খেসর নামগিয়েল ওয়াংচুকের সঙ্গে।
ভুটানগামী বিমানে ওঠার আগে দিল্লিতে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, "ভুটানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অতুলনীয়। সব সময় আমরা উষ্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছি। ওদের সঙ্গে আমাদের ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক বন্ধ দীর্ঘদিনের। তাই ভুটান আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু।"
নরেন্দ্র মোদী ভুটানের পার্লামেন্টের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। এ ছাড়া ভারতের অর্থানুকূল্যে নির্মিত ভুটানি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারোদ্ঘাটনও করবেন। তাঁর আগমন উপলক্ষে পারো ও থিম্পু শহর ছেয়ে গিয়েছে ভারত ও ভুটানের পতাকায়। রাস্তায় দেখা গিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর ঢাউস কাটআউটও।