FATF-এ কোণঠাসা পাকিস্তান দাউদকে নিয়ে কোন বার্তা দিল! কোন চাপে ইমরান, চড়ছে জল্পনা
২০০৩ সালে দাউদকে বিশ্বসন্ত্রাসবাদীর তকমা দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। যদিও দাউদ ইব্রাহিম কসকরকে নিয়ে কোনও মতেই বিশ্ব আঙিনায় পাকিস্তান কোনও উচ্চবাচ্য করেনি। এমনকি FATF-এর ধূসর তালিকা থেকে যখন পাকিস্তানের বেরিয়া আসার প্রবল চাপ ছিল ইমরান সরকারের উপর তখনও দাউকে নিয়ে কোনো কথা বলেনি ইসলামাবাদ। FATF-এর দরবারে দাউদ ইব্রাহিমকে নিয়ে পাকিস্তানের অবস্থান কী তা একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
FATF কে দেওয়া রিপোর্টে কী বলেছে পাকিস্তান?
পাকিস্তানের তরফে দেওয়া যে রিপোর্ট FATFএর কাছে পেশ করা হয়েছে, তাতে কোনও মতেই উল্লেখ নেই দাউদ ইব্রাহিমের। প্যারিসে FATFএর বৈঠকে রিপোর্ট পেশ করে পাকিস্তান কেবলমাত্র হাফিজ সইদকে নিয়ে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার কথা জানিয়েছে।
রাষ্ট্রসংঘের চাপ ও দাউদ ইস্যুতে ব্যাকফুটে পাকিস্তান
রাষ্ট্রসংঘের চাপ দাউদ ইব্রাহিমকে নিয়ে ক্রমাগত বাড়তে শুরু করেছে পাকিস্তানের উপর। পাকিস্তানের করাচিতে যে দাউদ গ্যাং রয়েছে তা বারবার জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। করাচি থেকে যে দাউদের স্ত্রীর পাসপোর্ট লাগু হয়েছে তাও জানিয়েছে ভারত। কিন্তু এত চাপ থাকা সত্ত্বেও কেন দাউদের কথা FATF এ জানায়নি পাকিস্তান, বা পাকিস্তান কেন হাফিজের মতো দাউদকে নিয়ে কোনও ব্যস্থা নিচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। জল্পনা উঠছে তাহলে কি পাকিস্তানের অর্থনীতিতে হাফিজের থেকেও দাউদের আন্ডারওয়ার্ল্ডের প্রভাব সবচেয়ে বেশি? উত্তরের অপেক্ষায় দক্ষিণ এশিয়া।
FATF এ পাকিস্তানের ভাগ্যে কী জুটল?
FATF এর রিভিউ মিটিং এর পর এদিকে পাকিস্তানের ভাগ্যে জুটেছে ধূসর তালিকা। আর সেই তালিকায় আগেও ছিল পাকিস্তান। এমন তালিকা পাকিস্তানের জন্য বড়সড় বিপদ ডেকে আনতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। একাধিক আর্থিক ইস্যুতে পাকিস্তানের কাছে আর আর্থিক মদত এসে পৌঁছবে না এরফলে। যা নিঃসসন্দেহে দেউলিয়া পাকিস্তানকে আরও বিপাকে ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।