পাকিস্তানের মসজিদে ২৬/১১ বার্ষিকীতে লস্কর জঙ্গিদের কীসের আয়োজন! গোয়েন্দা রিপোর্ট কী বলছে
গোটা মায়ানগরী এক নিমেষে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল সেই রাতে। ২০০৮ সালের সেই বীভৎস রূপ আজও মুম্বইয়ের স্মৃতি থেকে সরে যায়নি। কান্না, আর্তনাদের সেই শব্দে গোটা বিশ্বে ছড়িয়েছে, কারণ ২৬/১১ এর মুম্বই হামলায় পাকিস্তানি জঙ্গি শিবির লস্করের নিশানায় কেবলমাত্রা ভারতীয়রাই ছিলেননা, ছিলেন বিশ্বের বহু দেশের নাগরিকরা। এরপর ২০২০ সালে দাঁড়িয়ে এমন এক রক্তাক্ত দিনকে পাকিস্তান কিভাবে মনে রাখছে দেখে নেওয়া যাক।
পাকিস্তানের মসজিদে লস্করের প্রার্থনা সভা!
গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে,পাকিস্তানের মসজিদে এদিন বিশেষ একটি প্রার্থনা সভা ডেকেছে দাগী জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবা। এই লস্করের নেতৃত্বেই ২০০৮ সালে মুম্বইতে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা চালায় পাকিস্তান। সেই লস্কর শিবির মুম্বই হামলায় মৃত ১০ জঙ্গির আত্মার শান্তি কামনায় চলেছে এই প্রার্থনা। এমনই আগাম তথ্য আসে গোয়েন্দাদের রিপোর্টে।
আজমাল কাসাব পর্ব ও পাক সন্ত্রাস
২০০৮ সালের জঙ্গি হানার ঘটনায় একমাত্র পাকিস্তানি জঙ্গি হিসাবে ধরা পড়ে আজমাল কাসাব। তাকে ২০১২ সালে তদন্তের প্রেক্ষিতে আদালতের সাজার নির্দেশ অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড দেয় দিল্লি। এছাড়াও ৯ জন জঙ্গি মুম্বই হামলায় সেদিনই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে।
অক্টোবরে হাফিজের ডেরায় গিয়েছিল জাকিউর রহমান!
এদিকে খবর, গত অক্টোবর মাসেই লাহোরের জোহার টাউনে জঙ্গি নেতা জাকিউর রহমান লাকভি, জাাত প্রধান হাফিজের বাড়িতে যায়। সেখানে দুপক্ষের মধ্যে সন্ত্রাসের ফান্ডিং নিয়ে গোপন আলোচনা হয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রের খবর। ২৬ /১১ এর আগে যে পাকিস্তান এই জামাত ও লস্করের মতো সন্ত্রাসী সংগঠন নিয়ে এক চুলও বড় পদক্ষেপ নিতে পারছে না, তা বলাই বাহুল্য।
জাকউর ও হাফিজের কোন গোপন আলোচনা
জানা গিয়েছে, জাকিউর রহমান লাকভি ও হাফিজ সইদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আলোচিত হয়েছে কাশ্মীরে সন্ত্রাসের যোগানের বিভিন্ন দিক। এছাড়াও পাকিস্তানে হাফিজের বিরুদ্ধে কতগুলি মামলা রয়েছে,তা নিয়ে বাকিদের দুশ্চিন্তা না করার বার্তা দেয় জঙ্গি নেতা। সেই মামলাগুলি অস্থায়ী ঘটনা বলে উড়িয়েও দিয়েছে হাফিজ।
পাকিস্তান ও ২৬/১১
প্রসঙ্গত, পাকিস্তান কয়েকদিন আগেই যে সন্ত্রাসবাদীদের তালিকা প্রকাশ করে, তাতে সেই ১০ জঙ্গির নাম উঠে আসে, যারা মুম্বই হামলা চালিয়েছিল। তালিকায় পাকিস্তান জানিয়ে ফেলে যে ওই ১০ জঙ্গি পাকিস্তানেরই বাসিন্দা। ফলে মুম্বইয়ের ২০০৮ সালের হামলায় ফের পাকিস্তানের যোগ স্পষ্ট হয়েছে।