
ওমিক্রন 'ঘুম ভাঙানোর অ্যালার্ম', সামনে বড় বিপদ, বলছেন WHO-র চিকিৎসক
কোভিডের নয়া স্ট্রেনে ঘুম উড়ে গিয়েছে গোটাবিশ্বের। আফ্রিকার দক্ষিণাংশে এটি প্রথম দেখা গেলেও সম্প্রতি হংকং, ইজরায়েলে পর্যটকদের দেহে পাওয়া গিয়েছে এটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন বি.১.১.৫২৯ স্ট্রেনটির নামকরণ করেছে ওমিক্রন৷ জাতীয় বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন সূত্রে খবর হু-এর প্রধান বিজ্ঞানী ডাঃ সৌম্য স্বামীনাথন মনে করছেন, ওমিক্রন ভারতের ক্ষেত্রে 'ওয়েক আপ কল' হয়ে উঠতে পারে।


বিশেষজ্ঞরা বরাবরই বলে এসেছেন, কোভিডের বিরুদ্ধে প্রধান হাতিয়ার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, মাস্ক পরা, সামাজিক দুরত্ববিধি পালন করা৷ তবু ভারতে উৎসবের মরশুম থেকেই যেন গা-ঢিলেমি দিচ্ছে মানুষ। শীতের শুরুতে বিয়েবাড়িতেও ভিড় জমাচ্ছেন নাগরিকরা৷ স্বভাবতই সম্ভাবনাও বাড়ছে সংক্রমণের৷ আর এই কারণেই ডাঃ স্বামীনাথন মনে করছেন, ওমিক্রন আদতে ভারতের জন্য বিপদঘণ্টা-ই। তিনি জানান, দেশের সমস্ত সাবালক নাগরিকের টিকাকরণ, বড় জমায়েত এড়ানো, সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার এবং সর্বোপরি সংক্রমণের লেখচিত্রতে নজর রাখা। বিজ্ঞানের সাহায্য নিয়েই ওমিক্রনের সঙ্গে লড়াই করা যাবে।
যদিও এখনই স্ট্রেনটির ক্ষমতা সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যাচ্ছে না। ডাঃ স্বামীনাথন বলেন, এই নয়া স্ট্রেনটি ডেল্টার চেয়েও বেশি সংক্রামক। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওমিক্রন অন্যান্য স্ট্রেনের চেয়ে বেশি সংক্রামক। যদিও বিশেষজ্ঞরা এখনও জানেন না এটি আগের গুলির তুলনায় কত বেশি সংখ্যক মানুষকে আক্রান্ত করবে৷ অন্যান্য স্ট্রেনের সঙ্গে তুলনা করতে গিয়ে স্বামীনাথন বলেন, ' স্ট্রেনটির খুঁটিনাটি জানতে আমাদের আরও পড়াশোনা দরকার। তবে হ্যাঁ, টিকাকরণ বরাবরই কার্যকরী। দেখা যাচ্ছে, ওমিক্রনের বহু মিউটেশন রয়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় এখনও সমস্ত মানুষ টিকা পাননি।'
কোনও অনুজীবের জিনগত সজ্জা জানার উপায় তথা জিনোম সিকোয়েন্সিংকেও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন স্বামীনাথন। সম্প্রতি ওমিক্রনের জেরেই আফ্রিকার দক্ষিণাংশের একাধিক দেশে বিমান চলাচল স্থগিত করেছে জার্মানি, ইটালি, ব্রিটেন। সেই প্রসঙ্গে স্বামীনাথন বলেন, 'অতীতেও যাতায়াত স্থগিত করা হয়েছে, কিন্তু তাতে কোভিড রুখে দেওয়া যায়নি৷ এই যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা বেশিদিনের হওয়া উচিত নয়।'