বছর শেষে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ওমিক্রনের আতঙ্ক, বিশেষ ব্যবস্থা ইউরোপ ও আমেরিকায়
বিশ্বজুড়ে ওমিক্রনের আতঙ্ক
বছর শেষেও করোনা আতঙ্ক। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে কাঁপছে আসমুদ্রহিমাচল। করোনার থেকেও অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের সর্বত্র।একমাসেই বিশ্বের ১১৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে নতুন ভ্যারিয়েন্ট। ডেল্টাকে ছাপিয়ে গিয়ে ডমিনেন্ট ভ্যারিয়েন্ট হিসাবে রূপান্তরিত হচ্ছে ওমিক্রন। বিশ্বের সব দেশের সরকার ওমিক্রণ প্রতিরোধ করতে একাধিক নিষেধাজ্ঞা অরোপ করেছে। কিন্তু তাতেও থামছে না নয়া ভ্যারিয়েন্ট। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত গোটা বিশ্ব। কিন্তু তার মধ্যেই এই ওমিক্রন আশঙ্কার বীজ বপন করছে।
বিশ্বজুড়ে ওমিক্রনের থাবা
আমেরিকা থেকে ইউরোপ, বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। লাফিয়ে লাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,৭৯,৮০৭। ইউরোপের মধ্যে ফ্রান্সে সবথেকে বেশি করোনা সংক্রমণ ঘটছে। ব্রিটেনও পিছিয়ে নেই, সেখানেও হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। শুধু করোনাই নয় সেখানে থাবা বসিয়েছে ওমিক্রনও। ওমিক্রণ প্রতিরোধ করতে যথাসাধ্য ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। ইটালি গ্রিস পর্তুগাল সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট।
ওমিক্রন আক্রান্ত ফ্রান্স
ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সতর্ক করে জানিয়েছেন, ফ্রান্সে জানুয়ারির শুরুতে দিকে আড়াই লক্ষ কেস দেখা যেতে পারে। ফ্রান্সের হাসপাতাল ফেডারেশন জানিয়েছে, আরো কঠিন সময় আসছে। আর তাই সব রকম ভাবে ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে উদ্যোগ নিচ্ছে এমানুয়েল মাক্রোঁর প্রশাসন।
রানির দেশে ওমিক্রনের থাবা
ব্রিটেনে ও হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। মঙ্গলবার ব্রিটেনের স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, একদিনে করোনাই আক্রান্ত হয়েছেন ১,২৯,৪৭১ জন।করোনা আক্রান্ত পাঁচশোরও বেশি শিশু হাসপাতালে ভর্তি। উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও। বরিস জনসন আগেই জানিয়েছেন, ওমিক্রন প্রতিরোধ করতে নতুন কোনো বিধি-নিষেধ আনা হবে না। তবে মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সামনেই নববর্ষ। দেশবাসীকে নিউ মেনে নববর্ষ পালন করার কথা বলা হয়েছে। স্কটল্যান্ড উত্তর আয়ারল্যান্ড ইতিমধ্যে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
মার্কিন মুলুকে ওমিক্রন আতঙ্ক
ইউরোপ, ব্রিটেনের পাশাপাশি আমেরিকাতেও ছড়িয়ে পড়েছে করোনা সংক্রমন। মার্কিন স্বাস্থ্যকর্তারা কোয়ারিন্টাইন এর দিন কমানোর সিদ্ধান্তের কথা ভাবছিল। কিন্তু চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে সমালোচনা করেছেন।আমেরিকায় দৈনিক সংক্রমণ সব রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে। ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভ্যারিয়েন্টের ৫৮.৬ শতাংশ ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট অনুমান করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়, বিশ্বের একাধিক দেশে হঠাৎ করে যে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে, তার পিছনে দায়ী ওমিক্রন। যে দেশগুলিতে ইতিমধ্যেই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপট দেখা গিয়েছিল, সেখানেও নতুন করে ওমিক্রনের দাপট দেখা দিচ্ছে। উদ্বেগের কারণ হিসাবে চিহ্নিত ওমিক্রন থেকে সামগ্রিকভাবে সংক্রমণের ঝুঁকি এখনও অনেক বেশি বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।