
ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়ছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিকে সাবধান করল WHO
করোনার নতুন স্ট্রেনে স্ত্রস্ত গোটাবিশ্ব। প্রথমে আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণাংশে এটি দেখা গেলেও হংকং, বেলজিয়াম, ইজরায়েলে পর্যটকদের দেহে সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। আর এমনাবস্থাতেই দক্ষিণ এশিয়ান দেশগুলির জন্য বিপদঘণ্টা বাজাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
Recommended Video


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিজিওনাল ডিরেক্টর ডাঃ পুনম ক্ষেত্রপাল সিং বলেন, 'যদিও দক্ষিণ এশিয়ার অধিকাংশ দেশেই করোনার সক্রিয় কেসের সংখ্যা কমছে। বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে সংক্রমণ আদতে আমাদের জন্য বিপদঘণ্টা। এটা আমাদের মনে করাচ্ছে যে ক্রমাগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে আমাদের। অসতর্ক হওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।'
এই মুহূর্তে দেশগুলির উচিত পর্যবেক্ষণ বাড়ানো। আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল যাত্রার মাধ্যমে যে ঝুঁকি থেকে যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা এবং পদক্ষেপ নেওয়া উচিত দেশগুলির।তিনি আরও বলেন, ' যত তাড়াতাড়ি উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা ততই কার্যকর হবে। কোভিড-১৯ যত ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পাবে, ততই মিউটেট হয়ে ধর্মও পরিবর্তন করবে, ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে, অতিমারির মেয়াদ বাড়বে।'
এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। মাস্ক পরা, সামাজিক দুরত্ববিধি মেনে চলার মাধ্যমে ভাইরসের স্পর্শ তথা সংক্রমণ এড়ানো যায়। পুনম বলেন, 'দক্ষিণ এশিয়ার ৩১ শতাংশ সম্পূর্ণরূপে টিকা পেয়েছেন। আংশিকভাবে টিকাকরণ হয়েছে ২১ শতাংশের। তবে এখনও টিকাকরণ হয়নি ৪৮ শতাংশ মানুষের। সংখ্যার বিচারে দেখতে গেলে যা কিনা ১ বিলিয়নেরও বেশি৷ আর এই সংখ্যক মানুষদেরই কোভিডাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এঁরা অন্যান্য রোগেও সহজেই আক্রান্ত হতে পারেন।' তবে টিকা নেওয়া থাকলেই যে মাস্ক খুলে ঘুরে বেড়ানো যাবে এমনটা নয়। বিশেষজ্ঞরা আগেই জানিয়েছিলেন, এখনও বলছেন, টিকা নেওয়া থাকলেও ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রধান অস্ত্র স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা-ই।