অযোধ্যা নিয়ে ওলির বিতর্কিত মন্তব্যের আড়ালেও চিন! বেজিং এর প্রভাব নেপালের রাজনীতির জল কোন খাতে বইছে
ওলির বিতর্কিত মন্তব্যের আড়ালেও চিন! বেজিং এর প্রভাব নেপালের রাজনীতিতে কীভাবে নাটকী মোড় নিচ্ছে য় মো
কথা ছিল পার্টির মধ্যে দুই বিরোধীপক্ষের শিবির একজোট হয়ে সমঝোতার রাস্তায় আসবে। সেই মতোই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা পুষ্প কমল দাহাল ও দলের আরেক নেতা তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি বৈঠকে বসেন। বৈঠকের রকমফেরই এদিন বলে দিয়েছে যে নেপালের রাজনীতির জল কোনপথে বইছে। বৈঠকের ধরণ স্পষ্ট করেছে কীভাবে নেপালে থাবা বসাচ্ছে চিন!
কী ঘটেছে বৈঠকে?
দুই নেতা একই সঙ্গে একটি সমঝোতার পথে আসছিলেন। নেপালের রাজনীতিতে হাইভোল্টেজ বৈঠক চলছিল কমিউনিস্ট পার্টির অন্দরে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এই বৈঠকে যখন সমঝোতা একটি দিকে আসতে শুরু করে, তকনই আচমকা প্রধানমন্ত্রী ওলি জানিয়ে দিলেন , তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ বোধ করছেন না। ফলে বৈঠক শেষ হল না। নেপালের রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রীর গদিতে ওলি থাকছেন কী না, তা উপসংহার পেল না!
চিন-ওলি ও ভারত বিরোধীতা
নেপালের রাজনীতিতে 'প্রচণ্ড' নামে পরিচিত ওলির বিরোধী পক্ষ পুষ্প কমল দাহাল। এই পোক্ত দাহাল শিবির বহুদিন ধরেই ওলিকে গদিচ্যুত করতে উদ্যত হচ্ছেন। কিন্তু এবারেও তা করতে পারলেন না। কারণ বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, ওলির মেরুদণ্ডের চাবিকাঠি রয়ে গিয়েছে বেজিং এর কাছে। কারণ একটি সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, চিন একাধিক বিনিয়োগ করেছে নেপালে। যারপর থেকে দেখা গিয়েছে দুর্নীতিগ্রস্ত ওলির সম্পত্তির পরিমাণ ব্যাঙ্কের খাতায় উত্তোরোত্তর বেড়েছে। যা থেকে স্পষ্ট, যে নেপালের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী চিন-পন্থী।
ভারত বিরোধিতা ও ওলির আগ্রাসন
নেপালের
প্রধানমন্ত্রীর
ভারত
বিরোধিতা
বারবার
নতুন
নতুন
মাত্রা
নিয়েছে।
কখনও
করোনার
আগমন
ভারত
থেকে
নেপালে
হয়েছে
বলে
মন্তব্য,
কখনও
আবার
অযোধ্যা
নিয়ে
নেপালের
প্রধানমন্ত্রীর
বক্তব্য,
সবমিলিয়ে
বারবার
নেপাল
ভারতকে
ধাক্কা
দিতে
চেয়েছে।
যার
নেপথ্যে
যে
চিনের
অঙ্গুলি
হেলন
রয়েছে
তা
বোঝা
স্পষ্ট।
কিন্তু
এত
কাণ্ডের
পরও,
উচত্তরখাণ্ডে
ভারতের
সীমানার
দিকে
তাক
কের
নতুন
২
টি
পোস্ট
বানানোর
পরই
নেপালকে
পাততাড়ি
গোটাতে
হয়েছে।
ভারতের
সেনার
সামনে
ব্যকফুটে
চলে
গিয়েছে
নেপাল।
অযোধ্যা মন্তব্য ও নেপালের রাজনীতির অন্দরমহল
নেপালের রাজনীতির অন্দরমহলে এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী ওলির বক্তব্য নিয়ে বহু আলোচনা চলছে। তাঁর নিজের দলের সদস্যরাই বলছেন যে ওলি যা বলেছেন অযোধ্যা ও শ্রীরামচন্দ্র নিয়ে, তা অত্যন্ত নিম্নরুচির। অন্যদিকে, বিশেষজ্ঞদের দাবি, চিনের উস্কানিই শুধু নয়, নেপালে নিজের গদি বাঁচাতে হিন্দুত্ব আবেগকেও কাজে লাগাচ্ছেন ওলি। হিন্দুত্ব আবেগ সঙ্গে নিয়ে নেপালের হিন্দু জনজাতিকেও ভারত বিরোধিতায় উস্কানি দিচ্ছেন ওলি।
চিন কী চাইছে নেপাল থেকে?
নেপালের প্রধানমন্ত্রীর আচরণ যে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি হেডকোয়ার্টারের কথায় চলছে, তা বোঝা সম্ভব। এদিকে, সূত্রের দাবি, চিন কোনও দিনই চায়নি যে নেপালের দুটি ভিন্ন ধারারা কমিউনিস্ট পার্টি একজোট হোক। ২০১৮ সালে এই পার্টিগুলি একজোট হয়। যার হাত ধরেই ওলি আজ মসনদে। এবার সেই ওলিকে দিয়েই পার্টিতে ভাঙন ধরাতে চায় চিন। আর নেপালে যদি কমিউনিস্ট পার্টি দুর্বল হয়ে যায়,তাহলে সেখানের রাজনীতিতে চিনের আস্ফালন সহজ হবে।
২০২১ এই ভারতে 5G আনছে রিলায়েন্স! মুকেশ আম্বানির 'ব্লকবাস্টার' ঘোষণা