জ্বলন্ত গোলা যেন নেমে এল আকাশ থেকে! সেই বিমান ঘিরে দাবি
ভিয়েতনামের দক্ষিণ উপকূলের কাছাকাছি সুমদ্রের মাঝে একটি তৈলক্ষেত্রে গত শনিবার ভোরে কাজ করছিলেন মাইকেল জেরোম ম্যাককে। বিমান দুর্ঘটনাটি সচক্ষে দেখেছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে ই-মেইল পাঠিয়েছেন মালয়েশিয়া এবং ভিয়েতমান প্রশাসনকে।
তিনি লিখেছেন, "আমি মনে করছি, মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের বিমানটিকে আমি গোঁত্তা খেয়ে পড়তে দেখেছি। বিমান দুর্ঘটনার সময়টা একদম ঠিকঠাক। একটা জ্বলন্ত গোলা যেন নেমে আসছিল।"
এই ই-মেইলটি প্রকাশ্যে আসার পর আর কোনও সন্দেহ রইল না যে, সমুদ্রেই ভেঙে পড়েছে বিমানটি। এমনটাই দাবি ভিয়েতমান প্রশাসনের একাংশের।
এদিকে, বিমানটির ধ্বংসাবশেষ তিনটি জায়গায় পড়ে থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিল চীনের একটি কৃত্রিম উপগ্রহ। মাঝসমুদ্র থেকে ভিয়েতমানের স্থলভাগ, সব জায়গাই ছিল। অথচ উদ্ধারকারী দল সংশ্লিষ্ট জায়গা পৌঁছে তেমন কিছু পায়নি। যেমন, ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটির ৩৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে কিছু ধাতব ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছল উপগ্রহ চিত্রে। বাস্তবে দেখা যায়, সেইগুলি কোনও বিমানের নয়। ফলে বিমানটি ভেঙে পড়ে গভীর সমুদ্রে তলিয়ে গিয়েছে বলেই জোরদার হচ্ছে আশঙ্কা। ছ'দিন কেটে গেলেও হদিশ পাওয়া যায়নি বিমানটির। মালয়েশিয়া সরকারিভাবে দুর্ঘটনার কথা স্বীকার না করলেও চীন ও ভিয়েতনাম তা মেনে নিয়েছে।