রাউল কাস্ত্রোকে ফোন ওবামার, বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ
দ্বিধাদ্বন্দ্ব দূরে সরিয়ে কাছাকাছি এল আমেরিকা ও কিউবা। দু'দেশের রাষ্ট্রনায়করা শুধু যে ফোনে কথা বললেন তাই নয়, অঙ্গীকার করলেন এই সৌজন্য অটুট রাখার। গোটা বিশ্ব সাক্ষী রইল এই ঐতিহাসিক পর্বের।
১৯৫৯ সালে কিউবার সশস্ত্র অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিলেন বামপন্থী ফিদেল কাস্ত্রো। আমেরিকার সমর্থক বাতিস্তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ায় ফিদেলের ওপর হাড়ে-হাড়ে চটেছিল ওয়াশিংটন। সেই থেকে তারা কী-ই বা করেনি! কিউবার বিদ্রোহীদের নিজেদের দেশের আশ্রয় দেওয়া, ফিদেল কাস্ত্রোকে হত্যার চেষ্টা সবই করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৬০ সাল থেকে শুরু হয় বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা। আমেরিকা ও তার সহযোগী দেশগুলি কিউবার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। এর জেরে ৫৪ বছর ধরে সীমাহীন দারিদ্র্যে ভুগছে তারা। বিভিন্ন ওষুধ অমিল আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে।
২০০৮ সালে ফিদেল কাস্ত্রো ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর পর কিউবার রাষ্ট্রপতি হন রাউল কাস্ত্রো। নরমপন্থী রাউল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কিউবা আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে উদ্যোগী হয়। গোপনে শুরু হয় আলোচনা। ২০০৯ সালে মার্কিন ত্রাণকর্মী অ্যালেস গ্রসকে বন্দি করে কিউবা সরকার। তাতে আলোচনা কিছুটা ধাক্কা খেলেও একেবারে থেমে যায়নি।
প্রসঙ্গত, যুযুধান দুই দেশকে আলোচনা চালিয়ে যেতে যিনি প্রধান ভূমিকা নিয়েছিলেন, তিনি হলেন পোপ ফ্রান্সিস। শেষ পর্যন্ত বরফ গলাতে সক্ষম হলেন তিনি।
সূত্রের খবর, ওবামা নিজে ফোন করেছেন রাউল কাস্ত্রোকে। বলেছেন, তিনি কিউবার ওপর থেকে বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবেন। কিউবাও যেন সেখানে বন্দি মার্কিন নাগরিক অ্যালেন গ্রসকে সসম্মানে মুক্তি দেয়। বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার কারণে আমেরিকারও যে প্রতি বছর ১২০ কোটি ডলার করে ক্ষতি হয়েছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন ওবামা।