ওবায়দুল কাদের: হাসপাতালের আইসিইউতে হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল এই আওয়ামী লীগ নেতার
শ্বাসকষ্ট নিয়ে সকালে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আনা হয় ওবায়দুল কাদেরকে। এরপর থেকে তিনি সেখানে চিকিৎসকরা। তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কী বলছেন চিকিৎসকরা?
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। দলের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাসান মাহমুদ হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মি: কাদেরকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
মি: কাদের এখন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন। তাকে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা।
ভোরে শ্বাসকষ্ট শুরু হবার পর তাকে দ্রুত বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আনা হয়।
সেখানে আনার পর তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হয় বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তখন তাকে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।
হাসপাতালে আনার পর এনজিওগ্রাম করে চিকিৎসকরা তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক চিহ্নিত করেন।
হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান সৈয়দ আলী আহসান জানিয়েছেন, ওবায়দুল কাদেরের অবস্থা স্থিতিশীল হলেও তিনি পুরোপুরি শঙ্কা মুক্ত নন।
কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, "ওনার এনজিওগ্রাম করা হয়েছে। এনজিওগ্রামে দেখা গেছে তিনটা নালী ব্লক। একটা নালী খুলে দিছি।"
"এখন মোটামুটি উনি স্টেবল (স্থিতিশীল) আছে। স্ট্যাবল থাকলেও বলা যাবেনা যে স্ট্যাবল। এটা যে কোন মুহূর্তে আনস্টেবল (অস্থিতিশীল) হয়ে যেতে পারে। এবং হয়ে যেতেও পারে।"
"তো সেজন্য এখন পরবর্তী চিন্তা করতেছি যে যদি কোন ব্যবস্থা থাকে তাহলে ওনাকে বাইরের দিকে পাঠিয়ে দেয়া।"
ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা নিয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের সিনিয়র কয়েকজন নেতা সেখানে উপস্থিতি ছিলেন।
অধ্যাপক বড়ুয়া বলেন, "ওনার একটু শ্বাসকষ্ট হয়েছিল। এই শ্বাস কষ্ট নিয়ে আমাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে উনি সকাল পৌনে আটটায় আসেন।"
"আমরা আইসিইউতে নিয়ে যাই। আইসিইউতি চিকিৎসা দিতে দিতেই ওনার একটা হার্ট অ্যাটাক হয়। সে হার্ট অ্যাটাকের জন্য কোথায় কী হলো না হলো সেটা দেখার জন্য এনজিওগ্রাম করা হয়। এরপর একটা স্ট্যান্টিং করে দেয়া হয়। তার পরবর্তীতে উনি এখন স্ট্যাবল (স্থিতিশীল)।"
আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, মি: কাদেরের হৃদরোগের কোন ইতিহাস নেই।
মি: কাদের ২০১৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০ তম জাতীয় সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
আরো পড়ুন:
শামীমাকে নিয়ে নিজ দেশে ফিরতে চান তার স্বামী
তিনটি সেঞ্চুরি, তবু ইনিংস ব্যবধানে হারের যে চার কারণ
পাকিস্তান থেকে যেভাবে পালিয়েছিলেন ৩ ভারতীয় পাইলট