সুনামিতে এখনও নিখোঁজ বহু! আতঙ্কের প্রহর গুণছেন জাভার একাংশের বাসিন্দারা
শনিবার রাতে জাভার পশ্চিম উপকূলে অগ্ন্যুৎপাতের পরবর্তী সুনামিতে ইন্দোনেশিয়ায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪২৯ বলে জানা গিয়েছে। আহত হয়েছেন ১৪০০ জনের বেশি। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজের সংখ্যা ১২৮।
শনিবার রাতে জাভার পশ্চিম উপকূলে অগ্ন্যুৎপাতের পরবর্তী সুনামিতে ইন্দোনেশিয়ায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪২৯ বলে জানা গিয়েছে। আহত হয়েছেন ১৪০০ জনের বেশি। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজের সংখ্যা ১২৮ এবং হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভবিষ্যতে অগ্ন্যুৎপাতের জেরে এই ধরনের আরও সুনামি হতে পারে।
সুনামি সাধারণত ভূমিকম্পের ফলে হয়ে থাকে। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ায় শনিবার রাতের সুনামি হয়েছে ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে। ক্রাকাতোয়ার অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ১৯২৮-এ তৈরি হয়েছিল অনাক ক্রাকাতোয়া দ্বীপ। ক্রাকাতোয়ার অগ্ন্যুৎপাতের কারণে ১৮৮৩ সালে প্রায় ৩৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
শনিবারের সুনামি নিয়ে গত ছয়মাসে ইন্দোনেশিয়ায় তিনটি বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটল।
ইন্দোনেশিয়ায় ১২৭ টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। সবকটিই প্রশান্ত মহাসাগরের রিং অফ ফায়ারে অবস্থান করছে। এলাকাটি পৃথিবীর অন্য অঞ্চলের থেকে তুলনামূলক বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ।
ইন্দোনেশিয়ার
জাভা
এবং
সুমাত্রার
মধ্যে
সুন্দা
প্রণালিতে
ক্রাকাতোয়ার
অবস্থান
করছে।
এলাকাটি
ঘন
বসতিপূর্ণ
হওয়ায়
ক্ষতির
পরিমাণও
বেশি।
আগ্নেয়গিরিটি
জুন
মাস
থেকে
সক্রিয়
রয়েছে।
এছাড়াও
কারণ
এবং
ফলাফলের
মধ্যে
সময়
কম
হওয়াও
ক্ষতি
বৃদ্ধির
অপর
কারণ।
এছাড়াও
সুনামি
সুন্দা
প্রণালির
দুই
পারে
আছড়ে
পড়েছিল
রাতে।
দুই
পারেই
রয়েছে
ঘনবসতি।
ইন্দোনেশিয়াতেই এই ক্রাকাতোয়ায় অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সুনামির ঘটনা ঘটেছিল ১৮৮৩-তে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সুন্দা প্রণালিতে অগ্ন্যুৎপাতের কারণে সুনামি ভবিষ্যতেও ঘটতে পারে। কেননা ঘনঘন অগ্ন্যুৎপাতের সঙ্গে সমুদ্রের অভ্যন্তরে ভূমিধ্বসের ঘটনা ভবিষ্যতে যে কোনও সময় ঘটতে পারে। তবে এবিষয়ে সঠিক তথ্য দিতে সার্ভে জরুরি বলেও মত প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।