অযোধ্যা মামলার রায়ের পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে কি লাগু হবে এনএসএ?
প্রয়োজনে রাজ্যজুড়ে এনএসএ (ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট) লাগু করা হবে বলে জানিয়ে দিলেন উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি ওপি সিং।
প্রয়োজনে রাজ্য জুড়ে এনএসএ (ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট) লাগু করা হবে বলে জানিয়ে দিলেন উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি ওপি সিং। এই বিষয়ে ওপি সিং বলেন, "আমরা পুরোপুরি তৈরি রয়েছি। যে কোনও পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা তৈরি আছি। কোনও ভআবেই সাধারণ জনগণ যাতে তাদের হাতে আইন তুলে না নেয় তা আমরা সুনিশ্চিত করব। দরকার পড়লে আমরা রাজ্যে এনএসএ লাগু করব। আমাদের গোয়েন্দারা সবাই সব বিষয়ে নজর রাখছেন।"
পুলিশ-প্রশাসনের ছুটি বাতিল
অযোধ্যা রায়কে মাথায় রেখে পুলিশ-প্রশাসনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। রাজ্যে যাতে শান্তি বজায় থাকে তা দেখার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। তাই গোটা রাজ্য জুড়ে আঁটোসাটো নিরাপত্তা ব্যবস্থার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
গাজিয়াবাদে আগেই জারি করা হয় ১৪৪ ধারা
অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে যাতে কোনও অশান্তির পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় তার জন্য আগেই গাজিয়াবাদে ১৪৪ ধারা জারি করে দেওয়া হয়েছে। ১৭ নভেম্বরের আগে এই মামলার রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। গাজিয়াবাদের জেলা শাসক অজয় শঙ্কর পাণ্ডে হিন্দু এবং মুসলিম উভয় ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে শুক্রবার দেখা করে তাঁদের কাছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য আবেদন করেন। তিনি গাজিয়াবাদের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে জানান যে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মেনে চলতে হবে নাগরিকদের এবং কোনও ধরনের চাঞ্চল্যকর গুজবে যেন তাঁরা কান না দেয়।
বেশ কয়েকটি শহরে কড়া সতর্কতা জারি
তাছাড়া অযোধ্যা, মথুরা, বারাণসী সহ উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু শহরে কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অযোধ্যা, বারাণসী ও মথুরার মতো গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থানের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের পুলিশ স্টেশন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিতে চলছে নজরদারি।
রায় মেনে নেওয়ার আবেদন মোদী ও আরএসএস-এর
৩০ অক্টোবর আরএসএস সাধারণ জনগণের কাছে শীর্ষ আদালতের রায়কে মেনে নিয়ে তা সম্মান জানানোর আবেদন করা হয়েছিল। তারা জানায়, এই রায়ের জেরে দেশের শান্তি সৃঙ্খলা যাতে কোনও ভাবে বিঘ্নিত না হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর মন কি বাত অনুষ্ঠানে একই আবেদন রেখেছিলেন ভআরতবাসীর কাছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তৎপর সরকার
সংবেদনশীল এই মামলার রায়দানের পর যাতে এলাকায় কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই মর্মে নির্দেশ দিয়েছেন অযোধ্যার জেলা প্রশাসক। এদিকে, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মন্ত্রিসভার সদস্যদের বলেছেন, অযোধ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য থেকে দূরে থাকতে।