হত্যা নয়, আত্মরক্ষা! প্রতিবাদী খুনে অভিযুক্ত নাবালকের পক্ষে সাফাইয়ের সুর ট্রাম্পের গলায়
এত প্রতিবাদ বিক্ষোভের পরেও আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গদের উপর থেকে শ্বেতাঙ্গদের বিদ্বেষ ঘোঁচার নয়। জর্জ ফ্লয়েড বিচার পেতে না পেতেই অ্যাফ্রো-আমেরিকান জ্যাকব ব্লেকের ঘটনা ঘিরে জোরদার আন্দোলন দানা বাঁধতে শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। অকারণেই এই কৃষাঙ্গ যুবককে তাঁর সন্তানদের সামনে গুলি করে কার্যত পঙ্গু করে দেয় আমেরিকার উইসকনসিনের কেনোশা শহরের পুলিশ। সেই নিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হলে, প্রতিবাদ মঞ্চেই এক যুবকের গুলিতে প্রাণ হারান আরও দুই বিক্ষোভকারী। এবার সেই যুবকের হয়ে সাফাই গাইতে মাঠে নামলেন স্বয়ং ট্রাম্প।

বর্ণ-বিদ্বেষ বিরোধী বিক্ষোভে প্রকাশ্যে দুই কৃষ্ণাঙ্গকে গুলি চালিয়ে হত্যা
এদিকে জ্যাকব ব্লেকের ঘটনা কেন্দ্র করে প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখাতে গিয়েও ফের বর্ণবিদ্বেষের শিকার হন দুই বিক্ষোভকারী। পুলিশের নাকের ডগাতেই কাইল রিটেনহাউস নামের এক ১৭ বছরের নাবালক এক নাগাড়ে গুলি চালিয়ে হত্যা করে দুই বিক্ষোভকারীকে। তার গুলিতে প্রাণ হারান ২৬ বছরের অ্যান্টনি হুবার ও ৩৬ বছরের জোসেফ রোজেন বাম।

কৃষ্ণাঙ্গ হত্যাকারীর পাশে ট্রাম্প
এদিকে এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতেও দেশের প্রেসিডেন্টের রায় শ্বেতাঙ্গদের পক্ষেই। কেনোশার রাস্তায় বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালানো,বর্ণবিদ্বেষী ভাবধারা সম্পর্কে তো কিছু বললেনই না, বরং এদিন বিক্ষোভকারী খুনে অভিযুক্ত নাবালক কাইল রিটেনহাউসের পাশে দাঁড়ালেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আত্মরক্ষার জন্যই হত্যা করতে বাধ্য হয়েছে কাইল
অপরাধীর পক্ষে স্বয়ং দেশের প্রেসিডেন্ট সাফাই গেয়ে জানান, আত্মরক্ষার জন্যই এই পথ বেছে নিয়েছে কাইল। বিক্ষোভকারীদের কাঠগড়ায় তুলে কাইলের পক্ষে ট্রাম্পের যুক্তি, "আমরা এটা নিয়ে তদন্ত করছি। এটা ছিল অদ্ভুত পরিস্থিতি, তবে আমি যে ভিডিও ক্লিপ দেখেছি সেখানে স্পষ্ট যে বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে কাইল। তারপর সে আত্মরক্ষার জন্য বন্দুক তুলে নেয়। আমার মনে হয় সে বড় বিপদে ছিল, হয়ত মারাও যেতে পারত।"

কেনোশা সফরে ট্রাম্প
প্রথমে জর্জ ফ্লয়েড, তারপর জ্যাকব ব্লে। এমনকী প্রতিবাদ সভাতেও কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা ঘিরে উত্তাল মার্কিন মুলুক। কিন্তু বিচার মিলছে কই? নজরে আসছে বর্ণবিদ্বেষ রুখতে ট্রাম্পের ব্যর্থতা। ইতিমধ্যেই ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান জো বাইডেন ট্রাম্পের ভূমিকাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছেন, "ডান বাম নির্বিশেষে হিংসার নিন্দা করুন"। তিনি আরও বলেন "ট্রাম্প এই বর্ণবিদ্বেষ থামাতে পারবেন না, কারণ যুগের পর যুগ ধরে তিনিই কৃষ্ণাঙ্গ দের ঘৃণা করে আসছেন"। এমতাবস্থায় মঙ্গলবার ট্রাম্পের কেনোশা সফরের কথা শোনা গেল।
লাদাখ উত্তেজনার মাঝেই কাশ্মীরে একাধিক জঙ্গি ডেরায় হানা সেনার, উদ্ধার বিপুল পরিমান অস্ত্র