উত্তর কোরিয়া - আমেরিকা বৈঠক কেমন হল, জানেন কি বলছে প্রেসিডেন্ট কিমের পোষা মিডিয়া
উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলো ট্রাম্প ও কিমের শীর্ষ সম্মেলনকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিকূল সম্পর্কের অবসান হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে এবং একে কিমের কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে উপস্থাপন করেছে।
কিম-বন্দনা ছাড়া চলার উপায় নেই উত্তর কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যমগুলির। তাই ট্রাম্প ও কিমের মঙ্গলবারের বৈঠকে দীর্ঘ দিনের আমেরিকা - উত্তর কোরিয়া প্রতিকূল সম্পর্কের অবসান হল বলে দাবি করেও এই বৈঠককে তারা তাঁদের সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের কূটনৈতিক জয় হিসেবেই দেখিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ায় শাসন ক্ষমতা রয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টির হাতে। সেই দলের নেতা হিসেবেই দেশের শাসনভার কিমের হাতে রয়েছে। সেই ওয়ার্কার্স পার্টির মুখপত্র 'রোদং সিনমুন'-এর প্রথম পাতাতেই কিম ওচ্রাম্পের করমর্দনের ছবি দেওয়া হয়েছে। এই বৈঠককে 'রোদং সিনমুন' 'শতাব্দীর সেরা বৈঠক' হিসেবে বর্ণনা করেছে এবং এই বৈঠকে 'দুই দেশের চরম প্রতিকূল সম্পর্ক'-এর অবসান ঘটলো বলে দাবি করেছে।
সরকারি
সংবাদমাধ্যম
কেসিএনএ
আবার
বক্তব্য,
এই
বৈঠকে
'নব
যুগের
সূচনা'
হল।
তাদেরও
দাবি
উত্তর
কোরিয়া
-
আমেরিকার
প্রতিকূল
সম্পর্কে
মাটকীয়
পরিবর্তন
আসবে।
তাদের
প্রতিবেদন
অবশ্য
কিম-স্তুতির
ছড়াছড়ি।
অন্তত
১৬
বার
প্রতিবেদনে
কিমের
সাফল্য
তুলে
ধরা
হয়েছে।
কোরিয়ান
উপদ্বীপের
শান্তি
ও
স্থিতির
পরিস্থিতি
তৈরির
যাবতীয়
কৃতিত্ব
তাদের
মতে
প্রেসিডেন্ট
কিমের।
কেসিএনএ-র
দাবি
'কয়েক
মাস
আগেও
সশস্ত্র
সংঘর্ষের
চরম
বিপদের
উদ্বেগ
থাকলেও
দ্রুত
কোরিয়া
উপদ্বীপে
শান্তি
ও
স্থিতিশীলতার
বাতাবরণ
তৈরির
জন্য
ট্রাম্পও
নাকি
কিমের
প্রশংসা
করেছেন।
পাশাপাশি,
কিমকে
একজন
দায়িত্বশীল
রাষ্ট্রনায়ক
হিসেবে
তুলে
ধরেছে
তারা।
এর পাশপাপাশি তারা জানিয়েছে কিম এবং ট্রাম্প পরস্পর পরস্পরকে তাদের নিজ নিজ দেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কেসিএনএ-এর দাবি, 'দুই শীর্ষনেতাই একে অপরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। এতে উত্তর কোরিয়া - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে দাবি করেছে এই উত্তর কোরিয় সংবাদ সংস্থা।