উত্তর কোরিয়ায় বড়সড় রদবদলের ইঙ্গিত, কিম জং উনের বোনের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে জোর জল্পনা
নিজের কাঁধ থেকে দায়িত্ব কমাচ্ছেন কিম জং উন? এমনই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নতুন করে। দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, উত্তর কোরীয় নেতা এখনও নিজের হাতে সর্বাত্মক ক্ষমতা রাখলেও চাপের মাত্রা কমাতে বেশ কিছু নীতি নির্ধারণী দায়িত্ব অন্যদের হাতে তুলে দিয়েছেন। আর এতেই বেড়েছে জল্পনা।
এখন ইয়ো-জংই দেশের দ্বিতীয় সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি
গোয়েন্দা সংস্থার তরফে জানানো হয়, কিম নিজের বোন ইয়ো-জংই দেশের দ্বিতীয় সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি বানিয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিবিদের কথায়, মানসিক চাপ কমাতেই কিমের এই সিদ্ধান্ত। এর আগে কিম জং উনের মৃত্যুর জল্পনা ছড়ানোর সময়ও মনে করা হয়েছিল যে দেশের ক্ষমতা হস্তান্তরিত হবে তাঁর হাতে।
কোন নীতি নির্ধারণের দায়িত্বে ইয়ো জং?
কিম ইয়ো জং বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে পিয়ংইয়ংয়ের নীতি ঠিক করেন। এছাড়াও আরও কিছু নীতি নির্ধারণের ক্ষমতাও রয়েছে তার। তবে ক্ষমতা বাড়ানোর পর তার আওতা কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে সে সম্পর্কে কিছু জানায়নি দক্ষিণ কোরিয়া।
কিম ইয়ো জংয়ে জীবন
১৯৮৭ সালে জন্ম নেওয়া কিম ইয়ো জং এবং কিম জং উন এক সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের বার্নে পড়াশোনা করেছেন। ২০১৮ সালে ভাইয়ের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়া সফরে গিয়ে প্রথমবার আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করেন কিম ইয়ো জং। পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার ভাইয়ের সম্মেলন আয়োজনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।
কিমের বিশেষ বৈঠক
এরই মধ্যে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন সেদেশের ক্ষমতাসীন দলের এক বিশেষ বৈঠক ডাকায় জল্পনা বেড়ে গিয়েছে কয়েক দফা। প্রসঙ্গত, গত ৮ মাসে তথা চলতা বছরে প্রথম এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। আর এই বৈঠক নিয়ে আরও জল্পনা বেড়ে শিরোনামের দৌলতে। এই বৈঠকে শীর্ষক আলোচ্য বিষয় হতে চলেছে কোরিয়ান বিপ্লব ও দলের লড়াই করার ক্ষমতা বাড়ানো।
সময় ভালো যাচ্ছে না উত্তর কোরিয়ার
শোনা যাচ্ছে কিমের অধীনে সময় ভালো যাচ্ছে না উত্তর কোরিয়ার। করোনা-লকডাউনের জেরে ধাক্কা খেয়েছে উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি। সেদেশে করোনা ভাইরাস না থাকার দাবি করলেও আর্থিক মন্দা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে পিয়ংইয়ং। গত দু'দশকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে দেশের অর্থনীতি। বন্যায় প্রায় ১০ লাখ একর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ১৭ হাজার ঘরবাড়ি। নিজের তহবিল থেকে ত্রাণ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন কিম। রিজার্ভ ফান্ড থেকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি কিছু কূটনীতিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।
সামরিক বাজেটে কাটছাঁট করতে নারাজ কিম
তবে আর্থিক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সামরিক বাজেটে কাটছাঁট করতে নারাজ কিম। এমন সময়েও শাসকের একরোখা সিদ্ধান্তের শিকার হচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার নাগিরকরা। কিন্তু সেদেশের সরকারের দাবি, নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্র দেশের সুরক্ষা এবং ভবিষ্যতের গ্যারান্টি হওয়ায় কোনও যুদ্ধ হবে না। যদিও বহির্বিশ্বের চাপ এবং সামরিক হুমকি ক্রমশই বাড়ছে সেদেশে।
আরব বিশ্ব থেকে আরও দূরে পাকিস্তান! ইজরায়েলের ধাক্কায় লাইনচ্যুত ইমরানের 'কাশ্মীর এক্সপ্রেস'