করোনা আবহের মধ্যেই উত্তর কোরিয়ার শক্তি প্রদর্শন, মিসাইল মহড়া সেনার
করোনা আবহের মধ্যেই উত্তর কোরিয়ার শক্তি প্রদর্শন, মিসাইল মহড়া সেনার
মঙ্গলবার সামুদ্রিক জাহাজবিরোধী কম দূরত্বের মিসাইল ও সুখোই বিমানের মাধ্যমে স্থলপথগামী মিসাইল উৎক্ষেপণের পরীক্ষা চালাল উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী, এমনটাই খবর আন্তর্জাতিক সূত্রের।
কেন বেছে নেওয়া হল ১৪ এপ্রিলকে ?
উৎক্ষেপণের দিন হিসেবে মঙ্গলবারকে বেছে নেওয়ার কারণ এই দিন জাতীয় ছুটি। উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ওরফে বর্তমান সর্বাধিনায়ক কিম-জং-উনের ঠাকুরদা দ্বিতীয় কিম সাংয়ের জন্মদিন উপলক্ষ্যে এদিন ছুটি থাকে দেশজুড়ে।
কিভাবে চলল মিসাইল মহড়া
দক্ষিণ কোরিয়ার এক যুগ্ম আধিকারিক(জেসিএস)-এর মতে, স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় উত্তর কোরিয়ার পূর্বে অবস্থিত মানচন শহরের আন্দাজ ১৫০কিলোমিটার দূরে সামুদ্রিক জাহাজবিরোধী মিসাইলগুলি গিয়ে পড়ে এবং অন্যদিকে সুখোইয়ের মাধ্যমে মিসাইল পরীক্ষা হয়। জেসিএসের মতে, মার্কিন-কোরিয়া যুগলবন্দিতে এই পরীক্ষানিরীক্ষা চলে। সেনাবাহিনীর জেনারেল মার্ক মিলের মতে, "এই পরীক্ষানিরীক্ষা মানুষের পক্ষে হানিকারক নয়ই, উপরন্ত এই ঘটনা উদযাপনের কারণ আমরা বিশ্বের কাছে এটা স্পষ্ট করে দিয়েছি যে কোনো পরিস্থিতিতেই আমরা ভেঙে পড়ি না। "
২০১৭ সালেও চলে শীতকালীন মহড়া
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তার মতে, "১৫ই এপ্রিল নাগাদ উত্তর কোরিয়া যে শীতকালীন ড্রিল করে, এটি তারই অংশ। করোনাভাইরাসের জেরে এই কর্মসূচি পিছিয়ে গিয়েছিল।" তাঁর মতে এর আগে ২০১৭-তেও উত্তর কোরিয়া একই মিসাইল নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চালায়।
বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে কি বার্তা দিচ্ছেন কিম-জং-উন?
উত্তর কোরিয়া গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সেনাবাহিনীর অস্ত্রশস্ত্র পরীক্ষানিরীক্ষার কাজ চালাচ্ছে, যেখানে বেশ কয়েকটি কম দূরত্বের মিসাইল ও গত মাসে চার খেপে কম করে ৯টি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ করে। রবিবার কিম-জং-উন সেনাবাহিনীর অস্ত্র কর্মকান্ড চাক্ষুষ করেন। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলের দাবি, করোনার করাল গ্রাসের মধ্যেও উত্তর কোরিয়ার এমনতর শক্তি প্রদর্শন যথেষ্ট উদ্বেগের।
বর্ধিত করোনা লকডাউন চলাকালীন যে সব সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলা বাধ্যতামূলক, দেখুন এক নজরে