মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠক ‘দুঃখজনক’, উত্তর কোরিয়ার বিবৃতি উসকে দিল জল্পনা
মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সফল আলোচনার পর উত্তর কোরিয়া আশা করেছিল রাষ্ট্রসচিব মাইক পম্পের নেতৃত্বে এই বৈঠক তাঁদের দেশকে অনেক আশা আলো দেখাবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠককে দুঃখজনক বলে বর্ণনা করল উত্তর কোরিয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সফল আলোচনার পর উত্তর কোরিয়া আশা করেছিল রাষ্ট্রসচিব মাইক পম্পের নেতৃত্বে এই বৈঠক তাঁদের দেশকে অনেক আশা আলো দেখাবে। কিন্তু বাস্তবে ঘটল ভিন্ন। এই বৈঠকে ওয়াশিংটন উত্তর কোরিয়ার উপর সবকিছুই চাপিয়ে দিতে চেয়েছে, যা ভালোভাবে নেয়নি উত্তর কোরিয়া।
উত্তর কোরিয়ার তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং ইউনের সঙ্গে সাক্ষাৎ না করে উত্তর কোরিয়ার অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে দু'দিনের আলোচনায় যোগ দেন পম্পেও। কিন্তু কোরিয়া যুদ্ধের সময়ে নিহত আমেরিকান সৈন্যদের আত্মত্যাগ ও আত্মসমর্পণের কথা তুলে ধরা হয় এই বৈঠকে।
পিয়ংইয়ংয়ে ফিরে যাওয়ার আগে পম্পেও বলেন, উত্তর কোরিয়ার সরকারি কর্মকর্তা কিম ইয়ং চোলের সঙ্গে তাঁর আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। এই আলোচনা ছিল উৎপাদনশীল, বিশ্বাসে ভরপুর ও পরিশালীত। এই আলোচনায় দুই দেশই অগ্রগতির পথে একধাপ এগিয়ে যাবে। তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন যে, আরও অনেক কাজ বাকি আছে, সেই কাজ উভয় দেশ মিলে একযোগে করতে হবে।
উত্তর কোরিয়ার দাবি, গতমাসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের নাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিমের আলোচনা যে আঙ্গিকে হয়েছে, তার সঙ্গে এদিনের বৈঠকের মনোভাব ছিল আকাশ-পাতাল। সেদিকে দিয়ে বিচার করে আমেরিকা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ট্রাম্পের দেওয়া প্রতিশ্রুতি মেনে আলোচনা এগোয়নি।
এদিনর আলোচনা একেবারে একতরফা হয়েছে এবং আমেরিকা যথেষ্ট কঠোর মনোভাব দেখিয়েছে উত্তর কোরিয়ার প্রতি। যেভাবে 'সিভিআইডি' দাবি করা হয়েছে তা একতরফা এবং ডাকাতির মতো বলে দাবি উত্তর কোরিয়ার। পিয়ংইয়ংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, আমরা আশা করলাম যে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গঠনতন্ত্রের ব্যবস্থা করা হবে, যা দুই দেশের মধ্যে বিশ্বাস গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। আমরা পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে এগনোর চিন্তাভাবনা করছি, কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি এবং অবস্থান সেখানে খুবই দুঃখজনক থেকেছে।