কিম কি আদৌও মারা গিয়েছেন? নাকি পুরোটাই আমেরিকাকে বোকা বানানোর ফন্দি!
কিম জং উন কি মারা গিয়েছেন? উনি কি শুধুই অসুস্থ? নাকি আমেরিকাকে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ভাবে চাপে রাখতেই এই লুকোচুরির খেলা চালাচ্ছেন কিম? প্রশ্ন অনেক, জবাব নেই। জানা যাচ্ছে যে কিম জং উন খুবই অসুস্থ, সম্ভবত তিনিকোমায় রয়েছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন তিনি বেঁচে নেই, আর উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতা এখন তাঁর বোন ইয়ো জংয়ের হাতে।

গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, কিম গুরুতর অসুস্থ
কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, কিম গুরুতর অসুস্থ। তিনি কোমায় চলে গেছেন। সবশেষ গুঞ্জন হলো, তিনি মারা গেছেন। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম তার বোনের কাছে রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হাস্তান্তর করায় এ গুঞ্জন আরও জোরালো হয়েছে। অন্যদিকে কিমকে দেখাও যাচ্ছে না কোথাও।

কোনও ছবি এখনও প্রকাশ করেনি পিয়ং ইয়ং
কিন্তু এবার গুঞ্জন চলমান থাকলেও আগের মতো কোনও ছবি এখনও প্রকাশ করেনি পিয়ং ইয়ং। অন্যদিকে রাষ্ট্রের সব অনুষ্ঠানেই তার বোনকে দেখা যাচ্ছে। কিমের পর তার বোনই উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে বেশি ক্ষমতাধর। কিম মারা গেছেন কি বেঁচে আছেন, এর কোনোটিই নিশ্চিত হওয়ার সুযোগ নেই, যতক্ষণ পর্যন্ত কিমের অফিস কিছু না বলছে।

বিশেষ বৈঠক ডেকেছিলেন কিম!
এরই মধ্যে খবর পাওয়া গিয়েছিল যে, উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন সেদেশের ক্ষমতাসীন দলের এক বিশেষ বৈঠক ডেকেছিলেন। সেই খবরে জল্পনা আরও বেড়ে গিয়েছিল কয়েক দফা। প্রসঙ্গত, গত ৮ মাসে তথা চলতা বছরে প্রথম এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। আর এই বৈঠক নিয়ে আরও জল্পনা বেড়ে শিরোনামের দৌলতে। এই বৈঠকে শীর্ষক আলোচ্য বিষয় হতে চলেছে কোরিয়ান বিপ্লব ও দলের লড়াই করার ক্ষমতা বাড়ানো।

বাজে পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়া
গত দু'দশকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে দেশের অর্থনীতি। বন্যায় প্রায় ১০ লাখ একর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ১৭ হাজার ঘরবাড়ি। নিজের তহবিল থেকে ত্রাণ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন কিম। রিজার্ভ ফান্ড থেকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি কিছু কূটনীতিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।

সামরিক বাজেটে কাটছাঁট করতে নারাজ কিম
তবে আর্থিক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সামরিক বাজেটে কাটছাঁট করতে নারাজ কিম। এমন সময়েও শাসকের একরোখা সিদ্ধান্তের শিকার হচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার নাগিরকরা। কিন্তু সেদেশের সরকারের দাবি, নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্র দেশের সুরক্ষা এবং ভবিষ্যতের গ্যারান্টি হওয়ায় কোনও যুদ্ধ হবে না। যদিও বহির্বিশ্বের চাপ এবং সামরিক হুমকি ক্রমশই বাড়ছে সেদেশে। তবে এই সিদ্ধান্ত এবং বৈঠক কী কিম জং উনের নাকি তাঁর বোনের তা এখনও স্পষ্ট নয়।

উত্তর কোরিয়ার চাল বোঝা কঠিন
এদিকে অনেক বিশেষজ্ঞদের মত, কিমের এই জনসমক্ষে না আসার পিছনে যতটা না আন্তর্জাতিক সংকেত রয়েছে, তার থেকেও বেশি দেশীয় রাজনীতির প্রভাব রয়েছে। তবে আশ্চর্যের বিষয় হল, যতবারই আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো কিমের মৃত্যুর জল্পনা সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করছে, তত বারই সব জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে প্রকাশ্যে এসেছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট। তবে এবার তার ব্যাতিক্রম ঘটায় জল্পনা বাড়ছে। এদিকে উত্তর কোরিয়ার তরফে কিম ইয়ো জং, দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছিলেন কয়েকদিন আগেই। যা বকলমে আমেরিকাকে হুমকি দেওয়ারই শামিল। তাই উত্তর কোরিয়া যে কোন ফন্দি আঁটছে তা বোঝা কঠিন।
শুধু সেনা নয়, পুলওয়ামা চক্রীর টার্গেট লিস্টে ছিল আন্তর্জাতিক সাংবাদিকরাও, জানাল এনআইএ