অর্থনীতিতে নোবেলে সম্মানিত ডেভিড কার্ড, জসুয়া অ্যাংগ্রিস্ট, গুইডো ইম্বেনস
অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার ঘিরে জল্পনা ছিলই। আর সেই নিরিখে , এদিন অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কারের নাম ঘোষণা করা হল। এবার এই সম্মান জিতলেন গবেষক ডেভিড কার্ড, জসুয়া অ্যাংগ্রিস্ট, গুইডো ইম্বেনস। এঁদের মধ্যে ডেভিড কার্ড এককভাবে তাঁর গবেষণার জন্য ও বাকি দুই জন তাঁদের যৌথ গবেষণার কাজের জন্য এই পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। অর্থনীতিতে এই সম্মান ঘিরে গবেষকদের সম্পর্কে কিছু তথ্য়ে নজর রাখা যাক।
অর্থনীতির অধ্যাপক ডেভিড কার্ড কানাডার বাসিন্দা। 'এম্পিরিক্যাল কন্ট্রিবিউশন টু লেবার ইকোনমিক্স' নিয়ে তাঁর গবেষণার জন্য এই পুরস্কার প্রাপ্তি হয়েছে তাঁর। ১৯৯০ সাল থেকেই নিজের গবেষণার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরস্কার জিতে নিয়েছেন ডেভিড কার্ড। কিংগসটনে কুইনস্ ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক করেছেন তিনি। ৬৪ বছরের কার্ড এরপর প্রিন্সটন থেকে উচ্চশিক্ষা শেষ করে ডক্টরেট উপাধি পান। এরপর শিকাগো গ্র্যাজুয়েট স্কুলে তিনি সহ অধ্যাপক হিসাবে যোগ দেন। বছর ৬১ এর জসুয়া ডি অ্যাংগ্রিস্ট আমেরিকার বাসিন্দা হলেও, তিনি মূসত ইজরায়েলি বংশোদ্ভূত। মার্কিন মুলুকের এমআইটির অধ্যাপক তিনি । বিশ্বের তাবড় অর্থনীতিবিদের তালিকায় রয়েছেন জসুয়া। তাঁর নিজের গবেষণা জগতে এক যুগান্তকারী সাফল্যের অবদান রেখেছেন তিনিয। ডাচ আমেরিকান অর্থনীতিবিদ, গুইডো ইম্বেনস ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিজের পিএইচডির সম্নান পান। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ আর্টস অ্যান্ড সায়ান্স ও ইকোনমিক সোসাইটির সদস্য ইম্বেনস বিশ্বের এক তাবড় অর্থীনীতির বিজ্ঞানী বলে বিবেচিত হন। আর এই তিন গবেষকই এবারের নোবেল পুরস্কার জিতে নিয়েছেন।
এই অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কারের বিষয়টি বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে রয়েছে। আর চার পাঁচটি বিষয়ে নোবেল সম্মানের চেয়ে এই অর্থনীতির ক্ষেত্রে নোবেল সম্মান একটি বড় বিষয়। এই সম্মান দেওয়া হয় সুইডিশ সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের হাত ধরে। নিজের স্মৃতিকে ধরেই ১৯৬৮ সাল থেকে এই নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু করে সুইডিশ সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক। এর আগে , নোবেলে অর্থনীতির বিষয়ে দুই বাঙালি সেরার শিরোপা পান। সেক্ষেত্রে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েক বছর আগেই জিতে নিয়েছেন এই সেরার শিরোপা। এদিকে, অন্যদিকে, তারও কয়েক বছর আগে জিতে নিয়েছেন এই সম্মান অমর্ত্য সেন। বাঙালি এই দুই অধ্যাপককে ঘিরে নোবেলের অর্থনীতির সেক্টরে রীতিমতো আলোচনা হয়ে চলেছে আজও। বিশ্ববন্দিত এই দুই বিশিষ্ট অর্থনীতিবিজের গবেষণার কাজের জায়গা বিভিন্নভাবে মানুষকে সমৃদ্ধ করছে বলে জানা যায়।