এই শহরে গত ৭০ বছরে কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হয়নি! কারণ চমকে দেওয়ার মতো
এই শহরে গত ৭০ বছরে কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হয়নি! কারণ চমকে দেওয়ার মতো
বিশ্বের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের আশ্চর্যজনক ঘটনা। আর সেই ঘটনায় যদি বিশ্বাস রাখেন তাহলে এই খবর আপনার জন্যে। শুধু বিশ্বেই নয়, ভারতেও এমন বহু ঘটনা রয়েছে। যেগুলির বিষয়ে জানলে একেবারে চমকে উঠবেন। আর আজ এই প্রতিবেদনে এমনই এক আশ্চর্যজনক ঘটনা তুলে ধরা হবে যা জানলে একেবারে চমকে উঠবেন! তথ্য বলছে, এখানে গত ৭০ বছরে কোনও ব্যক্তির মৃত্যু পর্যন্ত হয়নি। যদিও এই ঘটনা শুনলে গুজব মনে হলেও একেবারেই সত্যি ঘটনা বলে দাবি। এখানে দাঁড়িয়ে অনেক কিছু প্রশ্ন হয়তো মনে আসতেই পারে। কিন্তু সেই জায়গার কিছু বৈশিষ্ঠ রয়েছে। সেটিই এই প্রতিবেদনে আলোচনা করা হল-
৭৬ দিন পর্যন্ত লাগাতার দিন -
যে আশ্চর্যজনক জায়গার বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে তা হল নরওয়ে। গোটা বিশ্বের কাছে নরওয়ের সৌন্দর্য নজর কাড়ে। শুধু তাই নয়, পর্যটকদের কাছেও এই জায়গা বিখ্যাত। কিন্তু নরওয়ের মধ্যেও এই জায়গার নাম লং ইয়ারবেন। এই এলাকার বৈশিষ্ঠই হল যে এখানে কারোর নাকি মৃত্যু হয় না। অবাক হলেও এটা সত্যি। বলে রাখা প্রয়োজন, নরওয়ের এই জায়গাকে 'মিডনাইট সন' এলাকা বলেও পরিচিত বিশ্ববাসীর কাছে। এই জায়গাতে মে মাস থেকে জুলাই মাসের শেষ পর্যন্ত সূর্যের অস্ত হয় না। আর সেই কারণে ৭৬ দিন পর্যন্ত লাগাতার দিন থাকে। রাত হয়ই না। স্বালবার্ড সম্পর্কে কথা বলতে গেলে, এখানে 10 এপ্রিল থেকে 23 আগস্ট পর্যন্ত সূর্য অস্ত যায় না। আর এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে লং ইয়ারবেনে-র প্রশাসন এমন একটি আইন এনেছে, যেখানে মানুষের মৃত্যুতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে!
ভীষণ ঠান্ডা পড়ে!
জানা যাচ্ছে, 'লং ইয়ারবেন' নরওয়ে নর্থ পোলে অবস্থিত। এই এলাকায় সালের পর সাল ভীষণ ঠান্ডা পড়ে। ঠান্ডার কারণে এই এলাকায় ব্যক্তি'র মৃত্যুর পর কবর দেওয়া দেহ পচে না। আর এই কারণেই প্রশাসন এই অঞ্চলে ব্যক্তিদের মৃত্যুর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আর এটাই চমকে দেওয়ার বিষয় হল এই শহরে বিগত ৭০ বছরে কারোর মৃত্যু পর্যন্ত হয়নি। তথ্য বলছে ধর্ম প্রধান এই শহরে ১৯১৭ সালে শেষ মৃত্যু হয়। ওই ব্যক্তি ইনফ্লুয়েঞ্জাতে আক্রান্ত ছিলেন। আর তাঁর মৃত্যুর পর লং ইয়ারবেনে চাপা দেওয়া হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ওই মৃত ব্যক্তির শরীরে ওই ভাইরাস রয়ে গিয়েছে। আর এরপরেই প্রশাসনে এই শহরে মৃত্যুর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দিয়েছে। যাতে ভাইরাস ঠেকানো সম্ভব হয়।
আর এটাই কারন
প্রায় দু'হাজার মানুষের বসবাস এই শহরে। যদি কেউ হঠাত করে অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে পার্শবর্তী এলাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিমানের সাহায্যেই তাঁকে পাঠানো হয়। এমনকি মৃত্যু হলেও ওই শহরেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। কখনই নরওয়ে'র লং ইয়ারবেন করা হয় না। আর এই কারণেই দিনের পর দিন কারোর কোনও মৃত্যু হয় না।
প্রচণ্ড গরমে সবথেকে বেশি শরীরের কোন কোন অঙ্গের ক্ষতি হয় জানেন?