মোদী-জিংপিং বৈঠক বাতিল চিনের, ভারতের পাল্টা দাবিতে নয়া চাঞ্চল্য
ভারত-চিন দুদেশের মধ্যে যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল তাকে আরও ঘনীভূত করল বেজিং। বেজিং ঘোষণা করেছে যে, জি -২০ শিখর সম্মলনের মাঝে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং-এর সঙ্গে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর
জি ২০ শিখর সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং-এর বৈঠকের কী আদৌ কোনও পরিকল্পনা ছিল? এই প্রশ্ন উঠছে এক ভারতীয় উচ্চপদাধিকারী আধিকারিকের বক্তব্য ঘিরে। ভারতের তরফে এই আধিকারিক জানিয়েছেন, ভারতের পক্ষ থেকে কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের বিষয়ে প্রস্তাবনাই দেওয়া হয়নি। তাহলে তা নিয়ে তথা 'সুষ্ঠু পরিবেশ' প্রসঙ্গ নিয়ে কথা উঠছে কেন, বলে তিনি প্রশ্ন তোলেন। উল্লেখ্য, এর আগে বেজিং ঘোষণা করে যে, জি -২০ শিখর সম্মলনের মাঝে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং-এর সঙ্গে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, তা বাতিল করল চিন প্রশাসন।
এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে ভারত-চিন দুদেশের মধ্যে যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল তাকে আরও ঘনীভূত করে দেয় বেজিং। কূটনৈতিক পথে সমস্যা মেটানোর ইচ্ছে যে বেজিং- এর নেই, তা আরও একবার স্পষ্ট করে দেয় চিন প্রশাসন। তবে ভারত ও চিনের রাষ্ট্রনেতার মধ্যে বৈঠক বাতিলের যে খবর চিন প্রকাশ করে , তাকে কার্যত ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে ভারত ।
শুক্রবার থেকে জার্মানের শহর হামবুর্গে শুরু হতে চলেছে জি-২- শিখর সম্মেলন। তার আগে ক্রামাগত সুর চডা়চ্ছে চিন। কখনও দেশের সংবাদমাধ্যমকে ব্যবহার করে, কখনওবা সারসরি ঘোষণা করে আবার কখনও না সেনা মহড়ার মাধ্যমে বার বার যুদ্ধের ইঙ্গিত দিচ্ছে শি জিংপিং -এর দেশ। আর এবার স্পষ্ট ভাষায়, চিনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়ে দেন, ' প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে বৈঠক হওয়ার জন্য পরিবেশ বর্তমানে নেই।'
প্রসঙ্গত,ভুটান সংলগ্ন ডোকলাং তরাই নিয়ে দু দেশের মধ্যে গত ১৯ দিন ধরে তীব্র দ্বন্দ্ব চলছে। দুই সীমান্তে দুই সেনাবাহিনীর মধ্যে রয়েছে চাপা উত্তেজনা। উল্লেখ্য, চিনের দাবি ভুটানের ডোকলাং তরাই চিনা ভুখণ্ড যেখানে দিতে তারা রাস্তা নির্মান করতে চায়। কিন্তু ভারত ও ভুটানের দাবি এই অঞ্চল ভুটানের অন্তর্গত । আর এই অঞ্চল দিয়ে রাস্তা নির্মান করা চিনের উচিত নয়। এই রাস্তা নির্মান হলে ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের দিক থেকেও তা আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। প্রসঙগত, চিনের দাবি ছিল এই সমস্যা নিয়েই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ভারত ও চিনের রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে। তবে চিনের এই দাবিকে ভারত ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।