লাদাখের 'বদলা' নিচ্ছে বেজিং? বহুমাস পর এখনও চিনা উপকূলে আটকে ভারতীয় নাবিকরা!
বিশ্বে করোনা সংক্রমন ছড়ানোর শুরু হতেই ভারতের সঙ্গে লাদাখ সীমান্তে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিল চিন। এরপর থেকে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই চিন এবং ভারতের মধ্যে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি তৈরি হয়ে আছে। এরই মাঝে আরও একটি ঘটনা ঘটে। গত কয়েক মাস ধরে দুটি মালবাহী ভারতীয় জাহাজ চিনের বন্দরে আটকে রয়েছে। যে দুটি জাহাজে আছেন মোট ৩৯ জন ভারতীয়। তবে এই ভারতীয় নাবিকদের আটকে পড়ার সঙ্গে নাকি লাদাখ সংঘাতের কোনও যোগ নেই। বরং এই ভারতীয়রা নাকি আটকে পড়েছে করোনা সংক্রমণের জেরে।
দুটি জাহাজে আটকে ৩৬ ভারতীয়
জানা গিয়েছে, চিনের জিংটাং বন্দরে ১৩ জুন নোঙর ফেলেছিল একটি জাহাজ তাতে রয়েছেন ২৩ জন ভারতীয়। অন্যদিকে, মালবাহী দ্বিতীয় জাহাজটি চিনের কাওফেইডিয়ান বন্দরের কাছে নোঙ্গর করে আছে। যে জাহাজে আছেন ১৬ জন ভারতীয়। এই জাহাজটি গত ২০ সে সেপ্টেম্বর থেকে নোঙ্গর করা অবস্থায় পড়ে আছে।
চিন কী বলছে
চিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, করোনা সংক্রান্ত বিধি নিষেধ লাগু থাকার কারণেই জাহাজ দুটির পণ্য খালাস আটকে গিয়েছে। তবে, ভারতীয় মুখপাত্ররা চিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন সব সময়। তবে জানানো হয়েছে যে, জাহাজে থাকা ভারতীয়রা সকলেই সুস্থ আছেন। ভারতের পক্ষ থেকে চিনকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, জাহাজে থাকা ভারতীয়দের যেন কোন রকম কষ্ট যেন না হয়, তাদের যেন সমস্ত রকম সহযোগিতা করা হয়।
৭ মাস ধরে যে অশান্তি
এদিকে পূর্ব লাদাখে গত প্রায় ৭ মাস ধরে যে অশান্তির পরিবেশ রয়েছে, তার যেন কোনও অন্ত নেই, কোনও বিরাম নেই। স্থিতাবস্থা বজায় রেখে ভবিষ্যতে ভারতকে অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল করে দেওয়াটাই আসলে ড্রাগনের আগামী ভবিষ্যতের পরিকল্পনা। আর ঠিক এই কারণেই ভারতের উপর প্রবল চাপ দিয়ে চলেছে চিন। ব্রিগেড কম্যান্ডার স্তরে ডজন খানেক বৈঠক করেছে দুই দেশ।
বিদেশ মন্ত্রকের শীর্ষকর্তা স্তরে হয়েছে বহু বৈঠক
বিদেশ মন্ত্রকের শীর্ষকর্তা স্তরেও হয়েছে বহু বৈঠক, বহু আলোচনা। কিন্তু কোনও বৈঠক, কোনও আলোচনা থেকেই কোনও সুষ্ঠু সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসেনি। মুখে বা সামনাসামনি তারা মেনে নিচ্ছে যে এই ধরনের পরিস্থিতি দুই দেশের কারও পক্ষেই সুখকর নয়। কিন্তু এই চাতুরি বারেবারে ধরা পড়ে যাচ্ছে তাদের খল পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে। এক দিকে তারা হাবেভাবে দেখাচ্ছে যেন তারা এমন কোনও পদক্ষেপ করবে না যাতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এই অঞ্চলে অশান্তি বৃদ্ধি পায়। আবার অন্য দিকে তারাই নতুন নতুন ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করছে যাতে ভবিষ্যতে অশান্তি তৈরি হয়।