অবস্থার উন্নতি হয়নি প্যাংগং ও দেপসাংয়ের, লাদাখে সেনা প্রত্যাহার শুরু হলেও তবে কী নতুন কৌশল চিনের?
অবস্থার উন্নতি হয়নি প্যাংগং ও দেপসাংয়ের, লাদাখে সেনা প্রত্যাহার শুরু হলেও তবে কী নতুন কৌশল চিনের ?
লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে চিনের সেনা প্রত্যাহারের কথা সোমবারই শোনা গিয়েছিল। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরে গত ২২ এবং ৩০ জুন দুই সেনার কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকের ফলশ্রুতিতেই দুই দেশের সেনার 'ডিসএনগেজমেন্ট’ প্রক্রিয়া শুরু হয় বলে জানা যায়। রবিবার বিকেল থেকেই লালফৌজের তরফে পিছু হঠা শুরু হয়। এমতাবস্থাতেও কোন পরিবর্তন হচ্ছে না পূর্ব লাদাখের প্যাংগং টিসও, ও দৌলতবেগের কাছে দেপসাংয়ে’র পরিস্থিতির।
সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে ঐক্যমতে দুই দেশই, তবুও সমস্যা কোথায় ?
সূত্রের খবর, রবিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই'র সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। ওই ফোনালাপেও গালওয়ান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছায় দুই দেশই। এরপর কেন্দ্রের তরফে জানানো হয় আপাতত কয়েকটি পেট্রোলিং পয়েন্ট থেকে উভয় দেশই সেনাদের পিছু হটিয়ে নিচ্ছে। তবে পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেক ও দেপসাংয়ে পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন কোনও তথ্য এখনও জানা যাচ্ছে না।
প্যাংগং লেক ও দেপসাংয়ে নতুন কৌশল নিতে পারে পিএলএ
এদিকে রবিবার থেকে শুরু করে গালোয়ানে পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪ থেকে তাদের সেনা ঘাঁটি সরিয়ে নিয়েছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। সূত্রের খবর, এদিকে পূর্ব লাদাখের হট স্প্রিং এলাকা থেকে তাদের সেনাবাহিনীকে ২ কিলোমিটার সরিয়ে নেওয়ার কাজ শেষ করেছে চিন। এছাড়াও গালওয়ান উপত্যকার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকেও সেনাদের ২ কিলোমিটার পিছনে সরিয়ে নিয়েছে তারা। পাশাপাশি বুধবার গোগরা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার কাজ শেষ হবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে প্যাংগং লেক ও দেপসাংয়ে পিএলএ নতুন কোনও কৌশল অবলম্বন করছে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। যদিও গোটা অঞ্চলেই বর্তমানে চিনের পিপলস লিবারেশনের আর্মির গতিবিধির জেরে সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভারত।
১৯৬২ যুদ্ধের কথা মাথায় রেখেই সতর্ক থাকতে চাইছে ভারত
এদিকে ১৯৬২-র চিন-ভারত যুদ্ধের ইতিহাসকে মাথায় রেখেই সতর্ক থাকার কথা ভাবছে ভারতও। সেই সময়েও সীমান্ত সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিল ভারত এবং চিন। তার পর কিছুদিন পরে পিছিয়েও গিয়েছিল লালফৌজ। কিন্তু তার ৯৬ দিন পর তাপমাত্রা নামতেই গালওয়ানে উত্তেজনার পারদ চড়িয়েছিল পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। শুরু হয়েছিল ভারত-চিন যুদ্ধ। প্রাক্তন সেনা অধিকর্তাদের মতে বর্তমানে সীমান্তে দু'পা এগিয়ে, এক পা পিছোনোর নীতি নিয়ে থাকতে পারে চিন। তাই প্যাংগং ও দেপাসাংয়ের পরিস্থিতি নিয়ে আবারও উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে।
এখনও গালওয়ানে পড়ে লালফৌজের একাধিক ভারী যুদ্ধাস্ত্র
এদিকে ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, এখনও গালওয়ানের বেশ কিছু জায়গায় বারী সমরাস্ত্র রেখে গেছে পিএলএ-র সেনা জওয়ানরা। সোমবার গোটা এলাকা টলদারির সময় ভারতীয় সেনা পিএলএ-র তরফে রেখে যাওয়া ওই সমস্ত ভারী যুদ্ধাস্ত্র গুলি দেখতে পায়। যদিও এর পিছনে আসলে কি কারণ থাকতে পারে তা নিয়ে সহজে কেউই কিছু বলতে চাইছে না। একাধিক বৈঠকের পর ধীরে ঘীরে গালওয়ানে রণহুঙ্কার প্রশমিত হলেও বর্তমানে চিনের এই কাণ্ডকারখান জেরে সজাগ দৃষ্টি রাখতে চাইছে ভারত।
ওলির গদি বাঁচাতে ময়দানে বেজিং! প্রধানমন্ত্রীর হয়ে কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে গোপন বৈঠক চিনের