উহান ল্যাব থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ নেই, দাবি হু–এর চার বিশেষজ্ঞের
উহান ল্যাব থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ নেই
গত বছর বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস মহামারি একরকমভাবে মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছিল। আর এই করোনা ভাইরাস চিনের উঘান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল প্রথম। সম্প্রতি হু–এর চারজন বৈজ্ঞানিক বিশেষজ্ঞ, যাঁরা চিনে গিয়েছিলেন এটা প্রমাণ করতে যে কোভিড–১৯–এর উৎসকেন্দ্র এই দেশ, তাঁরা জানিয়েছেন যে উহানের ল্যাব থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কোনও প্রমাণ বর্তমানে নেই। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মহামারির পেছনে চিনে চলা অপরিচ্ছন্নভাবে বন্যপ্রাণীর ব্যবসা দায়ি থাকতে পারে।
ভার্চুয়াল
একটি
অনুষ্ঠানে
এসে
বিশেষজ্ঞরা
জানিয়েছেন
যে
তাঁরা
উহানের
মাছ–মাংসের
বাজারের
মধ্যে
একটি
যোগসূত্র
খুঁজে
পেয়েছেন,
যেখানে
প্রথমবার
মানুষ
অসুস্থ
হয়ে
পড়েছিলেন
এবং
দক্ষিণ
চিনের
প্রতিবেশী
প্রদেশে
এই
মারণ
ভাইরাস
সহ
বাদুড়ের
সন্ধানও
পাওয়া
যায়।
এই
বিশেষজ্ঞ
দলের
একজন
ডাঃ
পিটার
ডেসজ্যাক
বলেন,
'উহান
থেকে
দক্ষিণ
চিনে
যাওয়ার
জলপথ
রয়েছে,
যেখানে
ভাইরাসগুলি
বাদুড়ের
মধ্যে
পাওয়া
যায়।
সম্ভাবনা
রয়েছে
যে
ভাইরাসটি
গৃহপালিত
এবং
খামারীকৃত
প্রাণীদের
মধ্যে
ছড়িয়ে
পড়ে
এবং
বন্য
প্রাণী
ব্যবসায়ের
কারণে
উহানে
পৌঁছায়
এই
মারণ
ভাইরাস
করোনা।’
ডাঃ
ড্যাসজ্যাকের
সঙ্গে
অধ্যাপক
ডেভিড
হেম্যান,
মারিয়ন
কুপম্যান
ও
জন
ওয়াটসনও
চিনে
গিয়েছিলেন।
কুম্যান এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে তাঁদের দল উঙানের হুনান বাজারের কাছে থাকা তিনটে ল্যাবে গিয়েছিলেন এবং তাদের প্রোটোকল ও রিসার্চ খতিয়ে দেখে। তিনি বলেন, 'কোনও ল্যাব থেকে এই ঘটনা ঘটেছে বলে সম্ভব নয় এই সিদ্ধান্তেই আমরা এসেছি।’ দুর্ঘটনাবশত, এই তিনটে বহুল আলোচিত ল্যাবগুলির মধ্যে সবচেয়ে চর্চিত ল্যাব হল উহান ইনস্টিটিউট অফ ভায়রোলজি, চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স, এই দুই ল্যাবের ওপর ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব আরোপ করা হয়েছিল। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার কিছু ভুয়ো খবর এই ঘটনায় আরও বেশি করে আগুনে ঘি ঢালে। চিনের উহান শহরের দুই ল্যাবের বিরুদ্ধে সেই সময়কার ট্রাম্প প্রশাসন কড়া তদন্ত করতে শুরু করে। যার ফলস্বরূপ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ্এর ওপর এর প্রভাব পড়েছিল। কালো তালিকাভুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল উহান ল্যাবকে, যেখানে করোনা ভাইরাসের গবেষণা চলছিল।
ব্যাটেলগ্রাউন্ড নন্দীগ্রাম, বাংলা ভাষাতেই 'বাংলার মেয়ে' মমতাকে চ্যালেঞ্জ স্মৃতি ইরানির!