পাকিস্তানকে নিজামের সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলায় ভারত ও দুই রাজকুমারকে অর্থ দেওয়ার নির্দেশ
পাকিস্তানকে নিজামের সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলায় ভারত ও দুই রাজকুমারকে অর্থ দেওয়ার নির্দেশ
নিজাম সপ্তমের সম্পত্তি সম্পর্কিত মামলার লড়াইয়ের জন্য ভারত ও দুই রাজকুমার মুকারাম ও মুফাখান জাহানের যে অর্থ ব্যয় হয়েছে, তার একটি অংশ প্রদানের জন্য পাকিস্তানকে নির্দেশ দিল ইংল্যান্ডের হাইকোর্ট ও ওয়ালেস।
সম্প্রতি লন্ডনের রয়্যাল কোর্ট অফ জাস্টিসে এই মামলা সংক্রান্ত শুনানি শেষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিচারপতি স্মিথ, যিনি ৩০৭ কোটির নিজাম সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলার রায় দেন অক্টোবরে, তিনি জানিয়েছেন যে আইনি লড়াইয়ের জন্য যে অর্থ ব্যয় হয়েছে তার ৬৫ শতাংশ দিতে হবে পাকিস্তানকে। এই ৬৫ শতাংশের মধ্যে ভারতকে দিতে হবে ২৫ কোটি, রাজকুমার মুফাখান পাবেন ১৬.৯৭ কোটি এবং হায়দরাবাদের অষ্টম নিজাম রাজকুমার মুকারাম পাবে ৭.৩৫ কোটি টাকা। অন্যদিকে, আইনী ব্যয়ের রায়ের অংশ হিসাবে, নটওয়েস্ট ব্যাংক, যেটি ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আইনি লড়াইয়ের খরচ বহন করছে, তার পাওনা রয়েছে ৩.৩৯৯ কোটি টাকা। এখনও পর্যন্ত ব্যাংকের ব্যয় ইতিমধ্যে মোট তহবিল থেকে প্রদান করা হয়েছে। এদিকে নিজার এস্টেটের প্রতিনিধিত্বকারী আইনি সংস্থা উইদার্স এলএলপির অংশীদার পল হেউইট বলেন, 'বিচারপতি স্মিথের রায়ের বিরুদ্ধতা করেনি পাকিস্তান আমরা তাতে খুশি। আমাদের মক্কেল হাইনেস অষ্টম নিজাম, এখন তাঁর দাদুর সম্পত্তি অর্জন করতে পারবেন। যেগুলি তাঁর দাদা সপ্তম নিজাম আত্মসাৎ করতে চেয়েছিলেন।’ এই মামলার দু’টি পার্টি কেন্দ্র সরকার ও দুই রাজকুমার ১৯৪৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নিজাম সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলা লড়ছে। স্মিথ আগেই জানিয়েছিল যে পাকিস্তান যে অর্থ দেবে তা দুই পার্টি নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতে সম্মত হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ১৯৪৮ সালে নবাব মইন নওয়াজ জঙ্গ, যিনি নিজামের সরকারিভাবে প্রশাসক, তিনি পাকিস্তানের অ্যাকাউন্ট থেকে ১ মিলিয়ান পাউন্ড লন্ডনে স্থানান্তরিত করেন। সপ্তম নিজাম মীর ওসমান আলী খান বাহাদুর কর্তৃক এই স্থানান্তরটি অনুমোদনহীনভাবে স্থানান্তরিত হয়েছিল, যার ফলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যথাযথ দাবি প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তহবিল ফ্রিজ করে দেয়। তখন থেকেই ব্রিটেনের ন্যাশনাল ওয়েস্টমিনস্টার ব্যাংকে ৩০৭ কোটি টাকা জমে রয়েছে। এ বছরের অক্টোবরে, বিচারপতি স্মিথ তার রায়দানের সময়, ভারতের দাবীগুলিকে সমর্থন করেন এবং পাকিস্তান যে দাবিগুলি করেছিল তা নাকচ করে দেয়। যদিও, প্রতিবেশী দেশটি তার আবেদনে দাবি করেছিল যে অপারেশন পোলো চলাকালীন পূর্ব পাকিস্তান হায়দরাবাদে অপারেশন পোলোর জন্য সরবরাহ করা অস্ত্রের অর্থ জমা করেছিল। তবে পাকিস্তানের এই দাবি সমর্থন করার মতো কোনও প্রমাণ পাননি স্মিথ।