তিন মাসের লড়াইয়ে করোনামুক্ত নিউজিল্যান্ড! সমস্ত বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের ঘোষণা জেসিন্ডার
করোনা ভাইরাস মহামারীতে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। কয়েকদিন আগেও সেই একই পরিস্থিতির সামনে দাঁড়িয়েছিল নিউজিল্যান্ডও। তবে কঠোর হাতে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ব্যপক ভাবে ফিরে আসে দেশটি। আর এর ফলে করোনা লড়াইয়ে জয়ী হয়েছে দেশটি। গত ২ সপ্তাহে নতুন করে কেউ আক্রান্ত না হওয়ায় নিউজিল্যান্ডকে করোনামুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হচ্ছে নিউজিল্যান্ডে
করোনামুক্ত হওয়ার ফলে সোমবার মধ্যরাত থেকে সব প্রকার বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হচ্ছে। তবে শুধুমাত্র সীমান্ত বন্ধ থাকছে। সেদেশের সরকারের পক্ষে জানানো হয়, নিউজিল্যান্ডে আর কোনও করোনা রোগী নেই। সর্বশেষ করোনা রোগী সুস্থ হওয়ার পর দেশটির কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা করে।
করোনামুক্তির খবরে নেচেছেন জেসিন্ডা
ওয়েলিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্দা আর্ডের্ন বলেন, 'আমরা প্রস্তুত। ভাইরাস মোকাবিলায় অভূতপূর্বভাবে একতাবদ্ধ হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। সোমবার মধ্যরাত থেকে নিউজিল্যান্ডের অধিবাসীরা এমন দেশে বসবাস করবে, যেখানে করোনা মহামারীর মধ্যেও জীবন স্বাভাবিক হবে।' পাশাপাশি দেশের করোনামুক্তির খবরে তিনি একটি নেচেছেন বলেও জানান জেসিন্ডা।
ভাইরাস মোকাবিলায় কঠোর বিধিনিষেধ
ভাইরাস মোকাবিলায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে নিউজিল্যান্ড। এ জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে প্রশংসিতও হয়েছিলেন জেসিন্ডা। ২৫ মার্চ চার সপ্তাহের জন্য দেশ লকডাউন ঘোষণা করেন জেসিন্দা। মাত্র ২০০ কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার পরই নিউজিল্যান্ড লকডাউন করা হয়।
বিশ্বজুড়ে এখনও চলছে হাহাকার
এদিকে বিশ্বজুড়ে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ৭০ লাখ ১৬ হাজার ৭৯৪। বিভিন্ন দেশের সরকারি তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ তথ্য জানায় জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটি। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৪ লাখ ২ হাজার ৮৭৪ জন। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশ আমেরিকা। সেখানে রোগীর সংখ্যা ১৯ লাখ ৪২ হাজার ৩৬৩ এবং তাদের মধ্যে মারা গেছেন ১ লাখ ১০ হাজার ৫১৪ জন।
জর্জ ফ্লয়েড হত্যা : বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে ভেঙে দেওয়া হবে মিনিয়াপোলিস পুলিশ ডিপার্টমেন্ট