পশ্চিমবঙ্গের করোনা নিয়ে 'করুণ' চিত্র নিউ ইয়র্ক টাইমসে, তৃণমূল দোষ চাপাল কেন্দ্রের ঘাড়ে
পশ্চিমবঙ্গের করোনা নিয়ে 'করুণ' চিত্র নিউ ইয়র্ক টাইমসে, তৃণমূল দোষ চাপাল কেন্দ্রের ঘাড়ে
পশ্চিমবঙ্গে করোনা চিত্র নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করল নিউ ইয়র্ক টাইমস। সেখানে টেস্ট নিয়ে চিকিৎসকদের চিন্তিত হওয়ার কথা জানানো হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, কোনও টেস্টের জন্য আধিকারিকদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হচ্ছে। যদিও এর জন্য কেন্দ্রের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে তৃণমূল।
পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরীক্ষার হাল শোচনীয়
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে নয় কোটি বাসিন্দার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৩ হাজার জনের করোনা টেস্ট করা হয়েছে। অর্থাৎ দশ লক্ষ জনসংখ্যা পিছু ৩৩.৭ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ভারতের গড় ১০ লক্ষ জনসংখ্যা পিছু ১৫৬.৯ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের কোনও আধিকারিক বয়ান মেলেনি
প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও, তাঁরা তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন।
চিকিৎসকদের অভিযোগ
যদিও চিকিৎসকদের অভিযোগ, প্রত্যেক পরীক্ষার জন্য তাঁদেরকে আধিকারিকাদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হচ্ছে। তাঁদের আরও অভিযোগ সরকার, সরকারি আধিকারিকরা প্রতিদিন পরীক্ষা করতে দিতে অস্বীকার করছেন। এই কারণে উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রোগীদের দ্রুত আইসোলেশনে পাঠানো যাচ্ছে না বলেও, অভিযোগ করছেন চিকিৎসকরা।
তৃণমূলের বয়ান়
প্রতিবেদনে বলা লহয়েছে, তারা এব্যাপারে তৃণমূল মুখপত্র ডেরেক ও'ব্রায়েনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তিনি এর জন্য দায় চাপিয়েছেন কেন্দ্রের ঘাড়ে। তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার পর্যাপ্ত কিচ সরবরাহ না করায় পরীক্ষা করা যায়নি। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, রাজ্যের নিজের থেকে কিচ কেনার কোনও অধিকার নেই।
কেন্দ্র ও নাইসেডের দাবি ভিন্ন
যদিও কেন্দ্রের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, সব রাজ্যকেই কিট সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে নাইসেডের অধিকর্তা শান্তা দত্তের মন্তব্যও তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে শান্তা দত্ত বলেছেন, দিনে তাঁদের ল্যাবে ১০০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা যায়। কিন্তু তত নমুনা তাঁদের কাছে যাচ্ছে না।
সর্দি,কাশির ওষুধ কিনলেই নাম নথিভুক্ত হবে! করোনা নিয়ে রাজ্যগুলি কোন নির্দেশ দিল