রানি এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করলেন Liz Truss! শুভেচ্ছা জানালেন বরিস জনসন
রানি এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করলেন Liz Truss! শুভেচ্ছা জানালেন বরিস জনসন
ব্রিটেনের বুকে আরও এক ইতিহাস। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হলেন Liz Truss। আর এরপরেই আজ মঙ্গলবার রানি এলিজাবেথের (দ্বিতীয়) সঙ্গে দেখা করলেন তিনি। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কার্যভার বুঝে নেওয়ার আগে এই সাক্ষাৎ একটি প্রক্রিয়ারই অংশ। এর আগে সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন মহারাণী এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এবং তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। রানির এই মুহূর্তে কোথাও যাওয়া আসার মতো পরিস্থিতি নেই। আর তাই এই সাক্ষাৎ লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসের পরিবর্তে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসেলে হয় বলে জানা যায়। বলে রাখা প্রয়োজন, দীর্ঘদিন পর রানি Liz Truss-এর সঙ্গে দেখা করতেই প্রকাশ্যে এলেন।
Liz Truss ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হলেন
রানি এলিজাবেথের (দ্বিতীয়) সঙ্গে সাক্ষাতের পরেই আনুষ্ঠানিক ভাবে Liz Truss ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হলেন। রানি তাঁকে সরকার তৈরি করতে নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। রানীর সঙ্গে দেখা করে বালমোরাল ক্যাসেল থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন ট্রাস। অন্যদিকে Liz Truss ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার আগেই ১০ ডাউনিং স্ট্রিট ছেড়ে চলে যান জনসন। অন্যদিকে বিবিসির খবর অনুযায়ী, সম্ভবত কিছুক্ষণের মধ্যেই মহারানির সঙ্গে দেখা করবেন বরিশ জনসন।
বরিস জনসের জমানা শেষ!
শেষ বার জাতির উদ্দেশ্যে বেশ কিছু বক্তব্য রাখেন বরিস জনসন। তাঁর শাসনকালের সফলতা তুলে ধরে তিনি জানিয়েছেন, তার সরকার ব্রেক্সিট করেছে এবং ইউরোপে দ্রুততম ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে। এই বিষয়ে বক্তব্য রাখতে Liz Truss-এর বক্তব্যও তুলে ধরেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আশা করেছেনম ট্রাস যিনি তাঁর বিদেশ সচিব ছিলেন, সেই ট্রাসের নেতৃত্ব দেশে অন্য উচ্চতায় পৌঁছবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বরিশ জনসন। পাশাপাশি রাশিয়াকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন তিনি। বলেছেন, জ্বালানি সংকট নিয়ে ব্রিটিশ জনগণকে ব্ল্যাকমেইল বা হুমকি দিতে পারবেন না।
শেষ মুহূর্তে ছিটলে যান ঋষি সুনক
লিজ ট্রাসের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সেদেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক। তিনি ঋষি সুনককে ৮১, ৩২৬ ভোটে পরাস্ত করেন। ঋষি সুনক একজন ভারতীয় বংশদ্ভুদ ছিলেন। ফলে তাঁর দিকে একটা নজর ছিল দেশের মানুষের। তবে শেষ মুহূর্তে ছিটকে যান ঋষি। জয়ের পরে লিজ ট্রাস বলেছেন, অর্থনীতির বৃদ্ধিতে দেশের কর কাঠামোর পরিবর্তন করবেন। পরিষ্কার করে বলতে গেলে তিনি কর কমানার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পরবর্তী ২ বছরের মধ্যে তিনি কাজ করে দেখানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। জনগণের জ্বালানি বিলের মোকাবিলা করে, শক্তি সংকটের মোকাবিলা করবেন বলে জানিয়েছেন ট্রাস।