বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় নতুন মোড়, গ্রেফতার ছাত্র লীগের সদস্য সহ ২
বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় নতুন মোড়, গ্রেফতার ছাত্র লীগের সদস্য সহ ২
চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে দুর্গা মন্ডপে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। প্রশ্নের মুখে পড়ে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা। হিন্দু মসুলিম দাঙ্গার জেরে লরান যায় বহু মানুষের। ঘটনার পক্ষে বিপক্ষে একাধিক মেরামত উঠে এলেও চলতি সপ্তাহের শেষে জানা যায় আসল ঘটনা। এদিকে কুমিল্লার দুর্গা মন্ডপে কোরান রাখার ঘটনায় আসল কালপ্রিটের খোঁজ মিললেও একাধিক উস্কানিমূলক পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে সামনে এসে বহু মানুষের নাম।
শুরু নতুন জল্পনা
ইতিমধ্যেই দুই মূল অভিযুক্ত সৈকত মণ্ডল এবং রবিউল ইসলামকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। যা নিয়ে নতুন করে চাপানোউতর তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। এদিকে ধৃতদের রংপুরে আদালতে তোলা হলে বিচারপতিদের সামনে দেওয়া জবানবন্দিতে ইতিমধ্যেই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্তরা। আর তাতেই পুলিশের হাতে এসেছে আরও একাধিক নতুন সূত্র।
গাজিপুরে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার
সূত্রের খবর, শুক্রবার গাজিপুরে এক অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ এই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে ধৃত সৈকত মণ্ডল স্পষ্টতই স্বীকার করেছে সে ফেসবুকে উস্কানিমূলক পোস্ট করেছিল।
একনজরে মূল অভিযুক্তের পরিচয়
তার পোস্টের পরেই রংপুরের পীরগঞ্জে তাণ্ডব চলেছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। সূত্রের খবর সৈকত রংপুরের কারমাইকেল কলেজের দর্শন বিভাগের ছাত্র। এদিকে সে আবার সেদেশের শাসক দল আওয়ামী লিগের ছাত্র সংগঠন ছাত্র লিগের সদস্য ছিল বলেও জানা যায়। ইতিমধ্যেই তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
চাপে হাসিনা সরকার
অন্যদিকে নিজের দোষের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অপর অভিযুক্ত রবিউল ইসলামও। অগ্নিসংযোগ ও লুটপাঠের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সে। এদিকে এই দুই গ্রেফতারিতে নতুন করে আলোড়ন দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলেও। যদি সরাসরি শাসক দলের সঙ্গে মূল অভিযুক্তের জড়িত থাকার ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে হাসিনা সরকার।