গোটা মার্কিন মুলকেই কমছে গ্রহণযোগ্যতা, নয়া সমীক্ষার রিপোর্টে ফের মুখ পুড়ল ট্রাম্পের
মার্কিন নির্বাচনে হারার পর থেকেই প্রমাণ ছাড়াই বারেবারে নির্বাচনে কারচুপির মত মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটদের পাল্টা অভিযোগ হোক বা ক্যাপিটাল ভবনের হামলার ঘটনা, ট্রাম্প-পন্থীদের দৌরাত্ম্যে তুমুল বিতর্ক অব্যাহত মার্কিন মুলুকে। এরই মাঝে ক্যুইনিপিয়াক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষার ফলে উঠে এল ট্রাম্পের জনপ্রিয়তার তলানিতে চলে যাওয়ার খবর।

কমছে জনপ্রিয়তা
সম্প্রতি মার্কিন সংসদে ইমপিচমেন্টের সম্মুখীন হয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। সেখানে নিজের দলেরই সেনেটরদের বিরোধীতারও মুখে পড়েন ট্রাম্প। সূত্রের খবর, ক্যুইনিপিয়াক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষা অনুযায়ী বর্তমানে ট্রাম্পের গ্রহণযোগ্যতা মাত্র ৩৩%, সেখানে অসমর্থন ছুঁয়েছে ৬০ শতাংশের গণ্ডি! এদিকে, গত বছরের জানুয়ারি মাসেও ট্রাম্পের গ্রহণযোগ্যতা ছিল ৪৪%-এর কাছাকাছি। সব মিলিয়ে শাসনকালের শেষ ক'দিনে যে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা যে তালানিতে এসে ঠেকেছে, তা দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট।

নিজের দলেই কোণঠাসা ট্রাম্প
মার্কিন সূত্রের খবর, পোলিং শুরু হওয়ার পর থেকে প্রথম মেয়াদ শেষের ক্ষেত্রে ট্রাম্পই প্রথম রাষ্ট্রপতি, যাঁর গ্রহণযোগ্যতা ৪০%-এর নীচে নেমেছে। অন্যদিকে, বুথফেরত সমীক্ষার সময়ে রিপাবলিক সমর্থকদের মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ছিল ৯৫%, যা বর্তমানে ৭০%-এর দিকে নেমেছে। সূত্রের মতে, একইরকম সময়ে অতীতে ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্টের হার ছিল ৬০%, এমনকি রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত না হয়েও অনেক রাজনীতিকের গ্রহণযোগ্যতা ট্রাম্পের চেয়ে বেশি ছিল, যা ট্রাম্পের জন্য বেশ অসম্মানসূচক বলে মত একাংশের।

জর্জবুশের মত ব্যক্তিত্বও এগিয়ে ট্রাম্পের থেকে
মার্কিন সমীক্ষা বলছে, মেয়াদ শেষের আগে জর্জ বুশের গ্রহণযোগ্যতা ছিল প্রায় ৫৬%! যদিও ট্রাম্প ছাড়া জিমি কার্টারই একমাত্র মার্কিন রাষ্ট্রপতি, যাঁর গ্রহণযোগ্যতা নেমে এসেছিল ৫০%-এর নীচে। যদিও ১৯৮০-এর মার্কিন নির্বাচনে কার্টারের জনপ্রিয়তা পৌঁছে যায় ট্রাম্পের বর্তমান গ্রহণযোগ্যতার কাছাকাছি। এ প্রসঙ্গে মার্কিন কূটনীতিকদের মত, ১৯৮১-এর ২০শে জানুয়ারি ইরানিয়ান বন্দীদের মুক্ত করতে উদয়াস্ত পরিশ্রম করেন কার্টার, কিন্তু মেয়াদ শেষের সময়ে এহেন ঘটনার কারণে গ্রহণযোগ্যতায় তেমন প্রভাব পড়েনি।

ট্রাম্পের নাছোরবান্দা মনোভাই কাল, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা
আন্তর্জাতিক রাজনীতিবিদদের মতে, বুশ বা জেরাল্ড ফোর্ডের মত দুঁদে রাজনীতিকরা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে হেরে গেলেও ক্ষমতা হস্তান্তরের সময়ে কোনোরকম বাধা দান করেননি, কিন্তু ট্রাম্পের সম্পূর্ণ বিপরীত আচরণে অবাক বিশ্ব। মাসের পর মাস মার্কিন নির্বাচনকে অস্বচ্ছ বলে দাবি করে বাইডেনকে রাষ্ট্রপতি বলে মানতে চাননি ট্রাম্প। কূটনীতিকদের মত, ভোটাভুটির পর ট্রাম্প হয়তো ভেবেছিলেন তাঁর জনপ্রিয়তা অটুট থাকবে, কিন্তু তাঁর ধারণা যে ভুল, তা ফের প্রমাণিত হল সদ্য প্রকাশিত জনমত সমীক্ষাতেই।

বেতন পরিকাঠামোর পুনর্গঠনের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে রক্ত দিয়ে চিঠি লিখলেন পার্শ্বশিক্ষকরা