কাশ্মীর সমস্যার সমাধানই ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের রাস্তা, বললেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ
সোমবার পাকিস্তানের ২৩ তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন পিএমএল-এন সভাপতি শেহবাজ শরীফ। পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদে তাঁর ভাষণে কাশ্মীর সমস্যাটি উত্থাপন করে বলেছিলেন যে তিনি ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চান তবে কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান ছাড়া তা কোনওভাবেই সম্ভব নয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শাহবাজ বলেন, আমরা ভারতের সাথে ভালো সম্পর্ক চাই কিন্তু কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান ছাড়া সম্ভব নয়। তিনি আরও যোগ করেন আমরা প্রতিটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে কাশ্মীর ইস্যুটি উত্থাপন করব। এরপর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্য কে তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পরামর্শ দেব যে, উভয় দিকেই দারিদ্র্য রয়েছে। আমি আহ্বান জানাই যে তিনি এসে জম্মু ও কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করুন এবং তারপরে একসঙ্গে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই সম্ভব।
প্রসঙ্গত নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আগেই দিনভর নাটক চলল পাকিস্তানে। প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দল ভোট বয়কট এবং ওয়াকআউট করবে বলে ঘোষণা করার পরে ৭০ বছর বয়সী শাহবাজ একমাত্র প্রার্থী ছিলেন। ওয়াকআউটের পর শরীফ ১৭৪ ভোট পেয়েছেন। এবং তাকে ইসলামিক রিপাবলিক অফ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। পাকিস্তানের স্পিকার আয়াজ সাদিক এই অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন। পরে তিনিও সরে দাঁড়ান৷ পাকিস্তানে মোট ৩৪২ এর হাউসে, বিজয়ী প্রার্থীকে কমপক্ষে ১৭২ জন সংসদ সদস্যের সমর্থন পেতে হয় প্রধানমন্ত্রী আসনে বসার জন্য। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বাড়িতে তাঁর প্রথম ভাষণে, শেহবাজ বলেন যে, পাকিস্তানের ইতিহাসে এটি প্রথমবারের মতো একটি সফল অনাস্থা প্রস্তাব৷ যা একজন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সফল ভাবে হয়েছে। তিনি নিজের জয়কে মন্দের উপর ভালো-র জয় বলে ব্যাখ্যা করেছেন৷
তিনি আরও বলেছেন, আজ আইনগত ও সাংবিধানিকভাবে একজন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন৷ পুরো জাতির জন্য এটি একটি বড় দিন। পাকিস্তানে তিনবারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই শেহবাজ বলেছেন যে তাঁর এই নিয়ম মেনে জয়ের পরই মার্কিন ডলারের মূল্য পাকিস্তানের মুদ্রার তুলনায় অনেকটা কমে যাওয়া টাকা কমে যাওয়া জনগণকে খুশি করবে। তিনি সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে স্বীকার করে বলেছেন, যেদিন সুপ্রিম কোর্ট তার রায় দেয় সেই দিনটিকে পাকিস্তানের ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক দিন হিসাবে চিহ্নিত করা উচিত। শেহবাজ বলেছিলেন যে অনেক আগেই অনাস্থা প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।