লিসেস্টারে সাম্প্রতিক হিংসা! কারা দায়ী, স্পষ্ট করলেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
লিসেস্টারে সাম্প্রতিক হিংসা! কারা দায়ী, স্পষ্ট করলেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
লিসেস্টার আপাতত শান্ত হলেও, সেখানকার সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক হিংসা চোখ খুলে দিয়েছে সরকারের। অগাস্টের শেষে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ের পরে মন্দিরে হামলার জেরে হিংসার ঘটনা ঘটে। পরে দুই সম্প্রদায়ের নেতারা হিংসা ও উস্কানি বন্ধে যৌথ বিবৃতি দেন। এব্যাপারে প্রশাসনিক ব্যর্থতার কথা মেনে নিয়েছেন সেখানকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান।
দায়ী পরিযায়ীরা, ব্যর্থ প্রশাসন
সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে তাদের দেশে পরিযায়ীদের অনিয়ন্ত্রিত প্রবেশ হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রশাসন নতুনদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ার পরে বার্মিংহামে কনজারভেটিভ পার্টির বার্ষিক সম্মেলনে সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান বলেছেন, পরিচয়ের রাজনীতির ক্ষতিকর দিকগুলির পাশাপাশি বহু সংস্কৃতিবাদের দিকে অপ্রত্যাশিতভাবে চলে যাওয়ার কারণেও পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
ব্রিটেনে এই ধরনের সংঘাতের কোনও জায়গা নেই
ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচে ভারতের জয়ের পরে পূর্ব ইংল্যান্ডের লিসেস্টারে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা থেকে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। ব্রিটেনে এই ধরনের হিংসার কোনও স্থান নেই বলে জানিয়েছেন সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান। তিনি বলেছেন সম্প্রতি তিনি লিসেস্টারে গিয়েছিলেন। সেখানে বিপুল সংখ্যক মানুষ নতুন এসেছেন। তাঁদের নিয়মে বাঁধার ব্যর্থতার কারণেই দাঙ্গা ও নাগরিক বিশৃঙ্খলার দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছেন আশ্রয়প্রার্থীরা
সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান বলেছেন, পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছেন আশ্রয়প্রার্থীরা। তাঁর সাফ কথা অনেক বেশি আশ্রয়প্রার্থী সিস্টেমের অপব্যবহার করছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, দ্রুত পরিযায়ীদের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে আবাসন থেকে জনসেবার পাশাপাশি সম্প্রদায়গত সম্পর্কের ওপরেও চাপ পড়ছে।
সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান ভারতীয় বংশোদ্ভূত
গোয়ানিজ পিতার কন্যা সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান। তাঁর মা তামিল। তিনি বলেছেন, ব্রিটেনে প্রবেশের ব্যাপারে তারা কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করছেন না। জাতিগত সংখ্যালঘু কিংবা বর্ণ বিদ্বেষী কোনও নিয়ন্ত্রণ তারা করেন না। কেননা তা করলে দেশে নিম্ন দক্ষ শ্রমিকের সংখ্যা হ্রাস করবে।
নোবেল শান্তি পুরস্কার এবার রাশিয়ান-ইউক্রেনীয় মানবাধিকার সংস্থার, সঙ্গে বেলারুশের আইনজীবীও