কৃষ্ণ গহ্বরের রহস্য উন্মোচনে এবার সাহায্য করবে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের নতুন আলোক সংবেদনশীল ক্যামেরা
কৃষ্ণ গহ্বরের রহস্য উন্মোচনে এবার সাহায্য করবে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের নতুন আলোক সংবেদনশীল ক্যামেরা
এবার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আলোক সংবেদনশীল ক্যামেরা আবিষ্কার মহাকাশ বিজ্ঞানীদের। যার মাধ্যমে সহজেই এবার ভিন গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব সম্পর্কে অনুসন্ধান চালাতে পারবেন বিজ্ঞানীরা। একই সাথে ব্ল্যাক হোল রহস্য বা কৃষ্ণ গহ্বর রহস্য উদঘাটনেও এই ক্যামেরাটি বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেকনোলজির (এনআইএসটি) গবেষকরা এই ক্যামেরাটি তৈরি করেছেন। বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন এই ক্যামেরাটি এক হাজারেরও বেশি সেন্সর বা পিক্সেল নিয়ে গঠিত যা আণুবক্ষনিক ফোটন কণা বা আলোর কণাকে গণনাকে গনণা করতে সক্ষম বলে জানাচ্ছেন নির্মাতারা। একইসাথে সৌরজগতের বা সৌরজগতের বাইরের কোনও গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা তা জানতেও ক্যামেরাটি বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবে বলে জানিয়েছেন তারা।
অপটিক্স এক্সপ্রেস জার্নালে বলা হয়েছে ক্যামেরাটিতে সুপারকন্ডাক্টিং ন্যানোওয়ায়ার থেকে তৈরি সেন্সর রয়েছে, যা একক ফোটন কণাকেও সনাক্ত করতে পারে। গতি, দক্ষতা এবং বর্ণ সংবেদনশীলতার বিচারে এখন পর্যন্ত এই ক্যামেরাটিকেই বিজ্ঞানীরা সেরা ফোটন গণক হিসাবে অখ্যায়িত করেছেন। ক্যামেরাটির এই বৈশিষ্ট্যটি মাধ্যমে কৃষ্ণগহ্বরের অনুসন্ধান এবং মহাকাশ-ভিত্তিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের উন্নতিতেও বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
এনআইএসটির ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার বরুণ ভার্মা এই ক্যামেরা প্রসঙ্গে বলেন, “ক্যামেরা তৈরির জন্য আমার প্রাথমিক অনুপ্রেরণা নাসার স্পেস টেলিস্কোপ প্রকল্প। এটি আমাদের সৌরজগতের বাইরে নক্ষত্র গুলিকে প্রদক্ষিণ করে যে গ্রহগুলি ঘুরছে তাদের রাসায়নিক স্তর ও পরিবেশগত বৈচিত্র্য বুঝতে সাহায্য করে।”