নয়া স্ট্রেনের চোখ রাঙানিতে কাঁপছে চিন, ৮ মাস পর ফের মৃত্যু করোনায়
করোনার উৎপত্তিস্থলের বিষয়ে তদন্ত চালাতে ইতিমধ্যেই চিনের উহানে পৌঁছেছে হু-এর ১০ সদস্যের বিশেষ গবেষকদল। এরই মাঝে নতুন করে করোনায় মৃত্যু ঘটার ফলে আশঙ্কার প্রহর গুনতে শুরু করেছে জিনপিং সরকার। প্রায় ৮ মাস পর বৃহস্পতিবার চিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ জন, যা ঘিরে জনগণের মধ্যে পুনরায় আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করেছে। সূত্রের মতে, ইতিমধ্যেই চিনের উত্তর অংশে প্রায় ২ কোটি মানুষ রয়েছেন লকডাউনের আওতায়। গবেষকদের মতে, প্রথম থেকেই লাগাতার লকডাউন আরোপের জেরে কোভিড নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বর্তমানে ক্রমেই ফের লাগামছাড়া সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে চিনে।

কড়া লকডাউন জারি বিস্তৃর্ণ এলাকায়
দীর্ঘ আটমাস পর পুনরায় মৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে চিনা সোশ্যাল মিডিয়ায়। সূত্রের মতে, চিনের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সূত্রে এখনও পর্যন্ত মৃতের বিষয়ে সেরকম কোনো তথ্য জানান হয়নি। যদিও মৃত ব্যক্তি যে হেবেই প্রদেশের অধিবাসী, সে খবর জানা গেছে চিনা সোশ্যাল মিডিয়া 'ওয়েইবো'-র মাধ্যমে। সূত্রের খবর, হেবেই সহ আশপাশের একাধিক প্রদেশ কড়া লকডাউনের আওতায় থাকার কারণে গণমাধ্যমে সঠিক তথ্য পৌঁছানোর কাজ কঠিন হয়ে পড়েছে।

হেবেই থেকেই ছড়াচ্ছে নয়া সংক্রমণ ?
আপাতত হেবেইকেই নব সংক্রমণের উপকেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করে কর্মসূচি নিচ্ছে জিনপিং সরকার। চিনা সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে হেবেই প্রদেশের রাজধানী শিজিয়াজহুয়াং-এ হঠাৎই গণপরীক্ষার আয়োজন করে প্রশাসন। অন্যদিকে গত শুক্রবার থেকেই হেবেইয়ের প্রতিবেশী জিংতাইয়ে জারি হয়েছে লকডাউন, স্বাভাবিকভাবেই প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ গৃহবন্দি সেখানে। পাশাপাশি গত বুধবার থেকেই উত্তর-পূর্বের হেইলংজিয়াংয়ে জারি হয়েছে মহামারীকালীন 'জরুরি অবস্থা'।

হু-এর সন্দেহ বাড়িয়ে নতুন মৃত্যু চিনে
চিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মতে, গত বছরের মে মাসের পর থেকে একজনও করোনার কবলে পড়ে প্রাণ হারাননি চিনে, এখনও পর্যন্ত চিনে করোনার কারণে মারা গেছেন ৪,৬৩৫ জন। যদিও এসবের মাঝেই বৃহস্পতিবার চিনে এসে উপস্থিত হয়েছে হু-এর ১০ সদস্যের বিশেষ তদন্ত দল। ড্রাগনের দেশে নতুন করে করোনায় মারা যাওয়ার খবরে যে বিশেষজ্ঞ মহলে আবার সন্দেহ জাগছে, তা বেশ বুঝতে পারছেন জিনপিং, এমনটাই মত রাজনীতিকদের।

দু'সপ্তাহের কোয়ারেন্টাইন শেষে কাজ শুরু করবে বিশেষ দল
করোনাকালে চিনা সীমান্তনীতির কড়াকড়ির কারণে প্রায় দু'সপ্তাহের কোয়ারানটাইনে থাকতে হবে বিশেষজ্ঞ দলকে, এমনটাই জানিয়েছেন হু-এর বিশেষ করোনা তদন্ত দলের প্রধান পিটার বেন এমবারেক। পিটারের মতে, "দু'সপ্তাহ পরে চিনা গবেষকদের সহায়তায় আমরা আমাদের পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করব ও করোনার উৎপত্তিস্থান যাচাই করে দেখব।" যদিও মহামারী শুরুর প্রায় একবছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর এহেন তদন্ত কতটা যুক্তিযুক্ত, সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতিবিদরা।

বিশ্বের দ্রুত–বৃদ্ধি টেক হাবের শীর্ষে বেঙ্গালুরু, ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে মুম্বই