'নার্ভ গ্যাস প্রয়োগে হত্যা করা হয় কিম জং নাম-কে'
এই গ্যাসের মাত্র এক গ্রামের- একশো ভাগের এক ভাগও কাউকে হত্যা করার জন্যে যথেষ্ট। ভি এক্স নামে পরিচিত এই বিষাক্ত গ্যাসটিকে জাতিসংঘ গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্র হিসেবে বিবেচনা করে থাকে।
মালয়েশিয়ার পুলিশ বলছে, পৃথিবীর সবচে বিষাক্ত ও প্রাণঘাতী নার্ভ গ্যাস ব্যবহার করে উত্তর কোরিয়ার নেতার সৎ ভাই কিম জং নাম-কে হত্যা করা হয়েছে।
এই গ্যাসের মাত্র এক গ্রামের- একশো ভাগের এক ভাগও কাউকে হত্যা করার জন্যে যথেষ্ট।
ভি এক্স নামে পরিচিত এই বিষাক্ত গ্যাসটিকে জাতিসংঘ গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্র হিসেবে বিবেচনা করে থাকে।
কুয়ালালামপুর বিমান বন্দরে প্রায় দেড় সপ্তাহ আগে কিম জং নাম-কে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়।
মালয়েশিয়ার পুলিশ প্রধান খালিদ আবু বকর জানিয়েছেন, কিম জং নামের চোখ এবং মুখমন্ডল থেকে তারা যে নমূনা সংগ্রহ করেছেন, সেখানে নার্ভ গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান, বিমানবন্দরে মিস্টার কিমের সংস্পর্শে এসেছিলেন এমন এক মহিলাও নার্ভ গ্যাসের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং এর পর বমি করেছেন।
কিভাবে এই নিষিদ্ধ রাসায়নিক মালয়েশিয়ায় আনা হয়েছে সেটা তারা তদন্ত করছেন বলেন জানান পুলিশ প্রধান।
রাসায়নিক যুদ্ধাস্ত্রের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী বলে মনে করা হয় ভিএক্স নামে পরিচিত এই নার্ভ গ্যাস।
মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ এখন কুয়ালালামপুরের বিমানবন্দর্ অন্য সব এলাকা, যেখানে সন্দেহভাজন হত্যাকারীরা গিয়েছিল, সেসব জায়গায় এই রাসায়নিকের সম্ভাব্য দূষণ থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করছে।
এই হত্যাকান্ড নিয়ে মালয়েশিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সম্পর্কে ইতোমধ্যে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে।
উত্তর কোরিয়া যদি সত্যি সত্যি এই হত্যাকান্ডের পেছনে থাকে, তাহলে কেন তারা কিম জং নামকে হত্যায় এরকম বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করলো, সেটা নিয়েও কথা হচ্ছে।
প্রাণঘাতী রাসায়নিক অস্ত্র যে তাদের কাছে আছে, সেটা বুঝিয়ে দেয়াই এর লক্ষ্য কিনা সে প্রশ্ন উঠেছে।
উত্তর কোরিয়ার কাছে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম রাসায়নিক অস্ত্রের মওজুদ আছে বলে মনে করা হয়।
তারা হচ্ছে বিশ্বের সেই ছয়টি দেশের একটি, যারা রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তিতে সই করেনি।