কালাপানি নিয়ে ভারত-নেপাল বিবাদ চরমে! দিল্লিকে হুঁশিয়ারি নেপালের বিদেশমন্ত্রীর
কালাপানি নিয়ে ভারতের সঙ্গে নেপালের সীমান্ত বিবাদ ক্রমেই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে পরিণত হচ্ছে। নেপাল সরকার কয়েকদিন আগেই ভারতের বিরুদ্ধে কালাপানি এলাকা জবর দখলের অভিযোগ করেছে। এবার সেই বিতর্ক আরও কয়েকগুণ চড়ল নেপালের বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যে।
নেপালের মন্ত্রী প্রদীপ কুমার গেয়াওয়ালির হুঁশিয়ারি
এদিন ভারতকে একপ্রকার হুঁশিয়ারি দেওয়ার ভঙ্গিতেই নেপালের মন্ত্রী প্রদীপ কুমার গেয়াওয়ালি বলেন, 'ভারতের উচিৎ অবিলম্বে কালাপানি থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করা। আমরা যত দ্রুত সম্ভব এই বিবাদ মেটাতে চাই। আমরা বিদেশ সচিবদের বৈঠকের জন্য ভারতকে আহ্বান জানিয়েছিলাম। তবে তা হয়নি।'
ভারতকে যুদ্ধের হুমকি
নেপালের উপ প্রধানমন্ত্রী ঈশ্বর পোখরেল কালাপানি উদ্ধারে যুদ্ধে নামার হুমকি দিয়েছিলেন ভারতকে। প্রসঙ্গত, ভারত-নেপাল সম্পর্কে তিক্ততার পিছনে চিনের হাত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন ভারতীয় সেনা প্রধান জেনারেল নারভানে। তারপরই পোখরেল এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে অভিযোগ করেন ভারতের গোর্খা রেজিমেন্টকে অসম্মান করা হয়েছে।
ভারত-নেপাল সম্পর্কে চিড়
ভারত-নেপাল সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করেছিল গতবছর অগাস্ট থেকেই। অনুচ্ছেদ ৩৭০ ও ৩৫এ বাতিল এবং জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে নিয়ে দুইটি নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করার পর ২০১৯ সালের নভেম্বরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে ভারতের রাজনৈতিক মানচিত্রের নতুন সংস্করণ প্রকাশ করা হয়েছে। নেপালের তরফে এই মানচিত্র নিয়ে আপত্তি তোলা হয়েছে।
কালাপানি নিয়ে নেপালের দাবি
নেপালের দাবি, বিতর্কিত কালাপানি এলাকাকে ভারতের উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় জেলার অংশ হিসেবে ভুলভাবে দাবি করা হয়েছে। অমীমাংসিত ওই এলাকা সেই দেশের সুদূর পশ্চিম প্রদেশের দারচুলা জেলার অধীনে ভারত নিজের অবস্থান বজায় রেখে জানিয়েছে, এর মধ্যে মানচিত্র পরিবর্তন করা হয়নি এবং পূর্বে প্রকাশিত মানচিত্রকে একই রেখে নতুন মানচিত্র নির্ভুল ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।
রাস্তা উদ্বোধনে নতুন জটিলতা
এদিকে কয়েকদিন আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং চিন সীমান্ত বরাবর দারচুলা থেকে লিপু লেখের মধ্যে নতুন লিঙ্ক রোডের উদ্বোধন করেন। এই লিঙ্ক রোড কৈলাস মান-সরোবর যাত্রাপথ অনেকটাই কমিয়ে দেবে বলে আশা করা হয়েছে। এর পরই নয়াদিল্লি এবং কাঠমান্ডুর মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
১৮১৬ সালের সুগৌলি চুক্তি
নেপালের বিদেশমন্ত্রকের তরফে এর পরই এক কড়া ভাষায় বিবৃতি দেওয়া হয়। 'নেপালি অঞ্চল' কোনওরকম কর্মকাণ্ড থেকে ভারতকে বিরত থাকতে বলা হয় ওই বিবৃতিতে। ১৮১৬ সালের সুগৌলি চুক্তি অনুযায়ী ওই বিবৃতিতে 'লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি ও লিপু লেখা'-সহ মহাকালী নদীর পূর্বদিকের সমস্ত অঞ্চলকে নিজেদের বলে দাবি করা হয়েছে।
চিনের কাছে হার মানল আমেরিকা, হংকং-এর সঙ্গ ত্যাগ ট্রাম্পের! মাইক পম্পেওর বক্তব্যে চাঞ্চল্য