ভারতের তিন এলাকা নেপালের মানচিত্রে! সংসদে সংবিধান সংশোধনী বিল পাসে নয়া আগ্রাসন
নেপালের প্রতিনিধি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে দেশের নতুন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মানচিত্র গৃহীত হল। নতুন মানচিত্রি প্রতিস্থাপনের জন্য সংবিধান সংশোধনী বিল প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করা হয়েছে নেপালে।
নেপালের প্রতিনিধি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে দেশের নতুন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মানচিত্র গৃহীত হল। নতুন মানচিত্রি প্রতিস্থাপনের জন্য সংবিধান সংশোধনী বিল প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করা হয়েছে নেপালে। নতুন এই মানচিতে ভারতের কালাপানি, লিপু লেখ এবং লিম্পিয়াধুরা রয়েছে। শাসক ও বিরোধী উভয়েই সমর্থন জানিয়েছে বিলকে।
নেপালের ক্ষমতাসীন নেপাল কম্যুনিস্ট পার্টি, প্রধান বিরোধী দল নেপাল কংগ্রেস এবং অন্যান্য দলগুলি প্রতিনিধি পরিষদে সংবিধান সংশোধনী বিলের প্রস্তাবটিকে সমর্থন জানায়। এর আগে ৩০ মে নেপালের সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী শিবামায়া টুম্বাহাংহে দেশের মানচিত্র আপডেট করার জন্য সংবিধান সংশোধন নিয়ে সংসদে আলোচনার জন্য বিলটি উত্থাপন করেছিলেন।
এই বিলটি ৩১ মে জাতীয় সংসদে নেপালের আইনমন্ত্রী শিবামায়া তুম্বাহাংফেকের দ্বারা উপস্থাপন করা হয়েছিল। সংশোধনী প্রস্তাবে নেপালের নিজস্ব সীমান্তের মধ্যে কালাপানি, লিপুলেখ এবং লিম্পিয়াধুরার অঞ্চলকে চিত্রিত করা হয়েছে নয়া রাজনৈতিক মানচিত্রে। সরকার জাতীয় সংসদে নেপালের রাজনৈতিক মানচিত্রটি আপডেটের জন্য সংবিধানের তৃতীয় তফসিল সংশোধন করার জন্য বিলটি নথিভুক্ত করেছিল।
নেপালের এহেন সিদ্ধান্তে মূদুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছে গেল। এই সমস্যার সূত্রপাত হয় ৮ মে। সেই সময় ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ধারচুলা থেকে লেপুলেখ পর্যন্ত একটি রাস্তার উদ্বোধন করেন করেন। তা মেনে নিতে পারেনি নেপাল। তারা দাবি করে ,লেপুলেখ আসলে নেপালের অংশ। সেই মর্মে প্রকাশিত হয় মানচিত্র।
সেইমতোই উত্তরাখণ্ডের কালাপানি, লিম্পিয়াধুরা, লিপুলেখ এই তিন এলাকা নেপাল নিজের বলে দাবি করতে শুরু করে। তার জেরে মানচিত্রেও এই এলাকাগুলি নিজের এলাকার মধ্যে ঢুকিয়ে নেয় নেপাল। যা নিয়ে তীব্র বিরোধিতা করে দিল্লি। নেপাল ভারতের সঙ্গে আলোচনা ব্যতিরেক সংসদে বিল পাস করিয়ে নিল নয়া মানচিত্রের।