জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে মোদীকে কোন কূটনৈতিক বার্তা ওলির, মিলল ভারত-নেপাল বরফ গলার ইঙ্গিত?
দিল্লি ও কাঠমান্ডুর মধ্যে সীমান্ত সমস্যা চলছে বেশ কয়েকমাস ধরেই। মূলত বেজিংয়ের ইন্ধনেই কেপি শর্মা ওলির সরকার দিল্লির বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে বলে মত প্রকাশ করেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সময় নেপালের প্রধানমন্ত্রী খড়্গ প্রসাদ শর্মা ওলি অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর সরকারকে ফেলে দিতে ভারতে বৈঠক হয়েছে। কিন্তু এসব করে কোনও সুবিধা হবে না। অবশ্য এই হুঁশিয়ারির সুর এবার বদলে গেল জন্মদিনের শুভেচ্ছাবার্তায়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৭০তম জন্মদিন
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৭০তম জন্মদিন। স্বাভাবিকভাবেই প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে চতুর্দিক থেকে শুভেচ্ছাবার্তা উড়ে এসেছে গণমান্য ব্যক্তিদের তরফ থেকে। সেই তালিকায় নিজের নাম যোগ করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলিও। এদিন তাঁর টুইট বার্তায় পুরোনো বিবাদ মিটিয়ে ভারতের সঙ্গে ফের সুসম্পর্ক গড়ে তোলার বার্তা দেন ওলি।
টুইটে যা লিখলেন ওলি
কেপি ওলি এদিন টুইটে প্রধানমন্ত্রী মোদীর উদ্দেশে লেখেন, 'জন্মদিনের শুভ মুহূর্ত উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। আমি আপনার সুস্বাস্থ্য এবং সুখ কামনা করি। আমরা আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করতে একত্রে নিবিড়ভাবে কাজ চালিয়ে যাব।'
এর আগে দিল্লিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ওলি
এর আগে অবশ্য দিল্লিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ওলি বলেছিলেন, 'নেপালের সংসদে তাঁর সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। বাইরের কোনও শক্তি তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে সফল হবে না। আমি জানতে পেরেছি দিল্লিতে বৈঠক হয়েছে। আমাদের সরকার নেপালের যে নতুন ম্যাপ প্রকাশ করেছে, তার বিরুদ্ধাচারণের জন্য ভারত পরিকল্পনা করছে।'
বিবাদের সূত্রপাত সীমান্ত নিয়ে
বিবাদের সূত্রপাত অবশ্য একটি রাস্তা নিয়ে কয়েকদিন আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ভারত থেকে চিন সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত একটি সড়কের উদ্বোধন করেন। কিন্তু কাঠমান্ডুর তরফে জানানো হয়, এই সড়ক এমন কিছু অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে বিস্তৃত হয়েছে যা নিয়ে এখনও নেপাল ও ভারতের মধ্যে বিতর্ক চলছে। এরপরেই নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলি সাংসদে ঘোষণা করেন, তাঁদের নতুন রাজনৈতিক মানচিত্রে সরকার লিপুলেখ, লিমপিয়াধুরাও কালাপানিকে সংযুক্ত করবে।
কালাপানি নিয়ে ভারত-নেপাল বিবাদ
লিপুলেখ পাস কালাপানির কাছে অবস্থিত। এই সীমান্তবর্তী অঞ্চল নিয়ে নেপাল ও ভারতের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। কারণ ভারত ও নেপাল দুই দেশেরই দাবি, কালাপানিতাদের সীমানার অন্তর্গত। ভারতের মতে, কালাপানি উত্তরাখণ্ডের পিথোরগড় জেলার অঞ্চল। আর নেপালের মতে, কালাপানি ধরচুলা জেলার অন্তর্গত।
মানচিত্রের রাজনীতি
নেপাল আনুষ্ঠানিকভাবে ২১ জুন তাদের নতুন রাজনৈতিক মানচিত্রের উদ্বোধন করে। সেই মানচিত্রে কালাপানি, লিপুলেখ ও লিমপিয়াধুরার সংযুক্তিরবিষয়টি ঘোষণা করেন নেপালের মন্ত্রী পদ্মাকুমারী আরিয়াল। ১৮১৬ সালে যে সুগৌলি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তার উপরভিত্তি করে এই নতুন মানচিত্র আঁকা হয়েছে।
LAC-তে চিনের ৫২ হাজার সেনাকে জবাব দিতে তৈরি ভারত! লাদাখ জুড়ে মোতায়েন আরও জওয়ান