নাছোড়বান্দা নেপাল ফের ভারতের বিরুদ্ধে নয়া প্যাঁয়তারায়! এবার বিশ্বদরবারে নয়া গেমপ্ল্যান
ফের একবার ভারত বিরোধিতায় মশগুল হতে শুরু করল নেপাল। আগেও সীমান্ত সংঘাত নিয়ে ভারতের সঙ্গে বিরোধিতার রাস্তায় হেঁটেছে ওলির দেশ। তারপরই সেদেশের প্রধানমন্ত্রীর মসনদ টলেছে। চিন এক আঙুলে কাঠমাণঢ্ুকে খেলানোর পর , এবার নেপাল বিশ্বমঞ্চে নয়া দরবারের পথে।
নেপালের নয়া চাল
১৩ জুন নেপালের সংসদ একটি অ্যামেন্ডমেন্টে নতুন রাজনৈতিক মানচিকত্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। সেখানে উত্তরাখণ্ডের নিলুলেখ, কালাপানি, লিম্পিয়াধুরাকে নিজের বলে দাবি করে তারা। ওরপর সেই না মানচিত্র নিয়ে মাঝে নেপাল কিছুটা ব্যাকফুটে গেলেও, এবার তারা এই নয়া মানচিত্র রাষ্ট্রসংঘের দরবারে পেশ করতে চলেছে।
কোন চালে ওলি?
নেপালের নতুন মানচিত্র তারা রাষ্ট্রসংঘরে দেওয়ার পাশাপাশি, গুগলকেও দেবে। এছাড়াও মানচিত্রকে ইংরেজিতে প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। যার দ্বারা আন্তর্জাতিক মঞ্চ গোটা বিষয়টিকি স্বীকৃতি দেয়।
মানচিত্র বিবাদ
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ভারতীয় ভূখণ্ডের অন্তর্গত কালাপানি, লিপুলেখ পাস ও লিম্পিয়াধুরা এলাকাকে নিজেদের সীমানার অন্তর্ভুক্ত করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছিল নেপাল। এরপর সেই মানচিত্রে সিলমোহর দেয় নেপালের পার্লামেন্ট। ভারতের তরফে এই মানচিত্রকে খারিজ করে বলা হয়েছে, এটি একটি 'ইউনিল্যাটরাল অ্যাক্ট৷' যার কোনও ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই৷
কীভাবে শুরু হয় বিবাদ অধ্যায়?
ভারতের তরফে তিব্বত সীমান্তে লিপুলেখ ও উত্তরাখণ্ডের সংযোগকারী ৮০ কিলোমিটার রাস্তা উদ্বোধন করেছিলেন রাজনাথ সিং৷ তারপরই মে মাসে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করা হয় নেপালের তরফে৷ আর এরপর পিথোগড় জেলা বরাবর নেপাল সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছিল কাঠমান্ডু, যাতে উত্তেজনা বাড়ে। তবে এখন ফের বিতর্কিত এলাকা বরাবর চিনা সেনার বাহিনী মোতায়ের খুব তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে চিনের বার্তা নেপালকে
নিজের সমস্ত মরশুমের 'বন্ধু' পাকিস্তানের এদিন ভূয়সী প্রশংসা করে চিন। চিনের দাবি, ভালো প্রতিবেশী ভালো ভবিষ্যৎ এনে দেয়। আর সেই উদাহরণ দেখিয়ে বেজিং দাবি করে, আফগানিস্তান ও নেপালও যেন চিনকে দেখে শেখে। পাশাপাশি বেজিং পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের ইকোনমিক করিডর আফগানিস্তান পর্যন্ত বিস্তার করে হিমালয়ের কোলে যোগাযোগ পোক্ত করতে চায় বলেও জানিয়েছে।