উত্তরপূর্ব সীমান্তে চিনের সেনা বাড়তেই ফের ভারতকে 'হুমকি' নেপালের! কী বললেন প্রধানমন্ত্রী ওলি?
সীমান্ত সংঘাতের জেরে নেপাল ও ভারতের সম্পর্ক অনেকটাই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। উত্তরাখণ্ডে কালাপানিস লিপুলেখ সহ একাধিক এলাকার দাবি নিয়ে নেপাল ভারতের ভূখণ্ডকে নিজের বলে সংঘাতে জড়িয়েছে কাঠমান্ডু।
কালি নদী তাদের অংশ বলে দাবি নেপালের
নেপালের সংসদে প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে, ওলি বলেন , ভারত ভুয়ো তথ্য দেখিয়ে মানচিত্রে নেপালের অংশকে নিজের বলে দাবি করছে। এক্ষেত্রে কালি নদী ঘিরে ভুয়ো তথ্য় দেখাতে শুরু করেছে দিল্লি, বলে দাবি নেপালের। নেপালের দাবি, এই কালি নদী তাদের অংশ, যেখানে ভারত নিজের সেনা বসিয়ে রেখেছে। এরপর নেপালের প্রধানমন্ত্রী হুমকি দিয়ে দাবি করেন, ভারত থেকে এই জমি তাঁরা ফেরত নিয়ে ছাড়বেন।
নেপালের এই হুমকির সময়টি তাৎপর্যপূর্ণ
প্রসঙ্গত, এই হুমকি এমন একটা সময়ে এল যখন, লাদাখ নিয়ে শান্তি আলোচনা চালাতে থাকলেও চিন অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ বরাবর এলএসি-তে সেনার সংখ্যা বাড়িয়েছে। এতদিন ভারত-চিন সেনার স্ট্যান্ড অফ চলছিল লাদাখে। তবে এই পরিস্থিতি এবার ভারতের উত্তর-পূর্বেও দেখা দিতে পারে।
নেপালে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করে যাচ্ছে চিন
এদিকে নেপালে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করে যাচ্ছে চিন। আর এই আর্থিক সহায়তা চিন থেকে আসায় , নেপাল চিনের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছে। নেপালের মতো আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশকে কার্যত চিন ২০০৮ থেকে সাহায্য করছে টাকা দিয়ে। যার বিনিময় হিসাবে নেপাল ভারতের সঙ্গে তিক্ত সম্পর্ক তৈরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
ভারতের বিরুদ্ধে চিন নেপালকে হাতিয়ার করছে
ভারতকে কোণঠাসা করতে চিন নেপালকে হাতিয়ার করে এগোচ্ছে। তাই ভারত নেপালে যা বিনিয়োগ করেছে তার থেকে বেশি আর্থিক বিনিয়োগ চিন করেছে নেপালে। নেপালের মোট এফডিআই-এর ৪২ শতাংশই চিনের থেকে। তাছাড়া চিনের একটি সিমেন্ট কারখানাও নেপালে তৈরি হচ্ছে। যার জেরে আপাতত নেপাল ড্রাগনের লেজের তালেই চলতে বাধ্য হচ্ছে।
লদাখের অশান্ত পরিস্থিতি ছড়াচ্ছে অন্যত্র! এবার উত্তরপূর্বের সীমান্তেও সেনা বাড়াচ্ছে চিন