নেপালে ওলির মসনদে কাঁপুনি ধরতেই চিন ব্যাকফুটে! পায়ের তলার মাটি সরছে নেপালি প্রধানমন্ত্রীর
নেপালে ওলির মসনদে কাঁপুনি ধরতেই চিন ব্যাকফুটে! পায়ের তলার মাটি সরছে নেপালি প্রধানমন্ত্রীর
ভারতকে একহাত নিতে গিয়ে সোজা নিজের গদিতেই ধাক্কা মেরে বসলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। ক্রমেই নেপালের প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিদেশ নীতি থেকে শুরু করে দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে ব্যাকফুটে চলে যাচ্ছিলেন, সেই পরিস্থিতি ওলিকে আরও করুণ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
নেপালের রাজনীতি ও চিন
নেপালের গদিতে যাতে ওলির অধিষ্ঠান একচুলও না সরে যায়, তার জন্য প্রবল চেষ্টায় ছিল চিন। চিনের তরফে নেপালে দূত পাঠিয়ে দেশের রাজনীতির পরিস্থিতিতে চিনের প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টাও করেছে জিনপিং সরকার। কারণ চিনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রচছ্নন মদত এ স্বার্থ রয়েছে ওলির মসনদে টিকে থাকার ওপর।
ওলি মসনদে থাকলে কী সুবিধা চিনের?
নেপালের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিককালে চিনের আঙুলের নাচনে, ভারত বিরোধিতা শুরু করেছেন। দুর্নীতিতে জর্জরিত ওলিকে সহজেই চিন মুঠোয় করে নেপালের পথে ভারতকে নিশানা করতে সুবিধা পাচ্ছে। আর সেই কারণেই নেপালের রাজনীতিতে চিন ওলির পক্ষে থেকে সেদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ময়দানকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে।
প্রচণ্ডের উত্থান
এদিকে, চিনের হাজারও চেষ্টাতেও ওলির গদি রাক্ষা পাচ্ছে না। নেপালের রাজনীতির অন্দরমহল বলছে, কমিউনিস্ট পার্টির ভিতর ওলিকে কোণঠাসা করতে বিরোধী পুষ্পকমল দাহাল প্রচণ্ডের শিবির উঠে পড়ে লেগেছে। আর তাতে সাফল্যের রাস্তায় যাচ্ছে প্রচণ্ডের ক্যাম্প।
হাইভোল্টেজ বৈঠক ও ওলি
উল্লেখ্য, নবম বারের জন্য নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলির কমিউনিস্ট পার্টির বৈঠক বাতিল করলেন। বৈঠকের শুরুর শেষ মুহূর্তে তিনি জানিয়ে দেন যে এই বৈঠকে তিনি থাকছেন না। শেষে বৈঠকে ওলি বিরোধী প্রচণ্ড শিবির উপস্থিত হয়। জানা গিয়েছে, ওলির অনুপস্থিতিতে বৈঠক আহ্বান করেন প্রচণ্ড ,যেখানে পার্টির অধিকাংশ সদস্য হাজির হলেও, ওলিপন্থীরা যাননি। আর তা থেকেই নেপালের রাজনীতিতে দ্বন্দ্ব স্পষ্ট। যার জেরে যতটা ব্য়াকফুটে ওলি, ততটাই ব্যাকফুটে চিন।
রাফালের গর্জনে কাঁপছে পাকিস্তান-চিন! যুদ্ধবিমান অবতরণ করতেই রাজনাথের হুঁশিয়ারি