দশেরার শুভেচ্ছাবার্তায় নেপালের পুরনো মানচিত্র, ওলির নতি স্বীকার ঘিরে জল্পনা
গুগল ও রাষ্ট্রসংঘকে দেশের সংশোধিত মানচিত্র পাঠানো হয়ে গিয়েছে নেপালের। সংশোধিত মানচিত্রে ভারতের ভূখন্ডের অংশ লিম্পিয়াধুরা, লিপুলেখা ও কালাপানিকে নিজেদের দেশের অংশ হিসাবে দেখিয়েছে নেপাল৷ তবে এরপর বহু চাপানউতোর হয়েছে দিল্লি ও কাঠমন্ডুর মাঝে। এই পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করতে বাধ্য হলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি।
নেপালের পুরনো মানচিত্র ব্যবহার
নেপালের পুরনো মানচিত্র ব্যবহার করে দেশবাসীকে বিজয়া দশমী তথা দশেরার শুভেচ্ছা জানান নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। তাঁর ব্যবহার করা মানচিত্রে দেখা যায়নি কালাপানি, লিপুলেখ, লিম্পিয়াধুরা ভারতের অভ্যন্তরেই। মনে করা হচ্ছে, গত বৃহস্পতিবার ভারতের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং প্রধান সমন্ত কুমার গোয়েলের সঙ্গে আলোচনার পরেই নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী।
নতুন সংশোধিত মানচিত্র প্রকাশ করে নেপাল
উল্লেখ্য, গত ২০ মে দেশের নতুন সংশোধিত মানচিত্র প্রকাশ করে নেপাল সরকার৷ সেই মানচিত্রে ভারতীয় ভূখন্ডের লিম্পিয়াধুরা, লিপুলেখা ও কালাপানিকেও অন্তর্ভুক্ত করে তারা৷ ভারত সরকার এবিষয়ে বলে, নেপালের এই পদক্ষেপ একতরফা৷ ইতিহাস ও প্রমাণের ভিত্তিতে নয় সেদেশের সরকারের এই পদক্ষেপ৷ এই কৃত্রিমভাবে নেপালের ভূখন্ডের সম্প্রসারণ দাবি করাকে ভারত মেনে নেবে না৷
দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া খারাপ
এরপর ১৩ জুন নেপালের সংবিধান সংশোধন করে ওই তিন স্থানকে সরকারি ভাবে নেপালি ভূখণ্ড বলে চিহ্নিত করা হয়। তবে দীর্ঘ টানাপোড়েনের মধ্যেই ভারত দাবি করে, এই কূটনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া খারাপ হবে৷ এই আবহেই দিন পনেরোর মধ্যে নেপাল সফরে যাবেন ভারতীয় সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নরভানে।
বিতর্কিত মানচিত্র বিতরণ
নেপালের পরিমাপ বিভাগকে নতুন সংশোধিত মানচিত্রের ইংরেজিতে ৮ হাজার কপি তৈরি করে আন্তর্জাতিক স্তরে পাঠাতে বলা হয়৷ পরিমাপ বিভাগ নতুন মানচিত্রের ২৫ হাজারটি কপি বানিয়েছে৷ যা গোটা দেশে বিতরণ করা হয়েছে৷ নেপালের সমস্ত প্রদেশে ও অফিসগুলিতে এই মানচিত্রগুলি বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে৷ তবে এরই মধ্যে ফের সুর নরম করলেন ওলি। যা ঘিরে জল্পনার পারদ চড়েছে তুঙ্গে।
রাষ্ট্রদ্রোহী মেহবুবা মুফতি, ফের কাশ্মীরি নেত্রীকে বন্দির দাবিতে সরব বিজেপি